ঢাকা
খ্রিস্টাব্দ

সোনাগাজীতে এজাহার নামীয় যুবলীগ নেতাকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ, আলোচনার ঝড়

দৈনিক লাল সবুজ বাংলাদেশ

ফেনী প্রতিনিধি।।
নিউজটি দেখেছেনঃ 1601996 জন
  • নিউজটি দেখেছেনঃ 1601996 জন
সোনাগাজীতে এজাহার নামীয় যুবলীগ নেতাকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ, আলোচনার ঝড়
ছবি- দুলাল হোসেন ওরফে বাটা দুলাল।

ফেনীর সোনাগাজীতে আটকের পর দুলাল হোসেন ওরফে বাটা দুলাল (৪০) নামে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত এক মাদক ব্যবসায়ীকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ। তিনি উপজেলার চর চান্দিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সহসভাপতি। গত শুক্রবার রাতে উপজেলার ভূইয়া বাজার এলাকা থেকে তাঁকে সেনাবাহিনীর সদস্যরা তাঁকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। সোনাগাজী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.কামরুজ্জামান বলেন, থানায় নথিপত্র যাচাই-বাছাই করে মামলা না পাওয়ায় দুলাল হোসেনকে রাতেই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। 


স্থানীয় লোকজন ও সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত ১০ অক্টোবর রাতে সোনাগাজী পৌরশহরের ফল ব্যবসায়ী মো.আবদুল্যাহ বাদী হয়ে পৌরসভা যুবলীগের সভাপতি  নাছির উদ্দিন অপুসহ ৬০ জনকে আসামি করে চাঁদাবাজি ও মারধরের ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় যুবলীগ নেতা দুলাল হোসেন ওরফে বাটা দুলাল  এজাহারভুক্ত ২৩ নম্বর আসামি।  শুক্রবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেনাবাহিনীর একদল সদস্য উপজেলার চর চান্দিয়া ইউনিয়নের ভূইয়া বাজার এলাকা থেকে মাদক সম্রাট দুলাল হোসেন ওরফে বাটা দুলালকে আটক করে থানা পুলিশে সোপর্দ করে। পরে রাতেই পুলিশ তাঁকে থানা থেকে ছেড়ে দেয়। ঘটনাটি জানাজানি হলে স্থানীয় লোকজনের মধ্যে সমালোচনার ঝড় উঠে। 


চাঁদাবাজি মামলার বাদী মো.আবদুল্যাহ বলেন, বাটা দুলাল আমার মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। আমি শুনেছি, শুক্রবার রাতে সেনাবাহিনী তাকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে। পরে পুলিশ তাঁকে ছেড়ে দেওয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই। যদি এমন হয়,তাহলে আমি পুলিশের উর্ধ্বতনদের কাছে থানা পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেব। 


সোনাগাজী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.কামরুজ্জামান , শুক্রবার রাতে দুলাল হোসেন ওরফে বা টা দুলালকে সেনা সদস্যরা আটক করে থানায় নিয়ে আসেন। তাঁর বিরুদ্ধে পূর্বের পাঁচটি মামলা রয়েছে। প্রতিটি মামলায় তিনি জামিনে রয়েছেন। এরপরও থানার নথিপত্র যাচাই-বাছাই করে মামলা না পেয়ে তাঁকে ছেড়ে দিয়েছেন। সম্প্রতি একটি চাঁদাবাজির মামলায় যুবলীগ নেতা দুলাল হোসেন ওরফে বাটা দুলাল এজাহারভুক্ত ২৩ নম্বর আসামি রয়েছেন এমন প্রশ্নের জবাবে ওসি মো.কামরুজ্জামান বলেন, ওই মামলায় তাঁর বাবার নাম আনিছুল হক লেখা হয়েছে। কিন্তু তার বাবার নাম আবু তাহের। একারণে থানার কম্পিউটারে মামলা দেখা যায়নি। 


তিনি আরও বলেন, তিনিসহ বর্তমানে থানায় কর্মরত সব পুলিশ সদস্য নতুন হওয়ায় দুলালকে কেউ চিনতে পরেনি। সকালে লোকজনের কাছ থেকে শুনে তাঁকে গ্রেপ্তার করতে একাধিক জায়গায় অভিযান চালিয়েছেন। এজন্য তিনি দু:খ প্রকাশ করেন।


জানতে চাইলে সোনাগাজী সার্কেল সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মো.তাসলিম হুসাইন  বলেন, তিনি ঢাকায় একটি প্রশিক্ষণে রয়েছেন। এবিষয়ে থানার ওসি তাঁকে কিছুই জানায়নি। তবে বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখবেন বলে জানান।


নিউজটি পোস্ট করেছেনঃ এলএসবিডি/এনকেডি

কমেন্ট বক্স
দৈনিক লাল সবুজ বাংলাদেশ

ফেনী প্রতিনিধি।।

আপডেট :