




- নির্বাচন কমিশন (ইসি), ছবি: ইন্টারনেট।
আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ৩০০ আসনের সীমানা পুনঃনির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।চূড়ান্ত তালিকা অনুযায়ী, গাজীপুরে একটি বাড়িয়ে ছয়টি আসন এবং বাগেরহাটে একটি কমিয়ে তিনটি আসন রাখা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এ তথ্য জানান নির্বাচন কমিশন সচিব আখতার আহমেদ।
বিস্তারিতকুমিল্লার তিতাস উপজেলায় সাড়ে তিন বছরের বেশি সময় আইনি লড়াইয়ে জয়ী হয়ে শপথ নিয়েছেন এক ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য। বুধবার উপজেলার জগতপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৬নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য খোকন মিয়াকে আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ বাক্য পাঠ করান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুমাইয়া মমিন।
খোকন মিয়া ২০২১ সালের নভেম্বরে ওই ওয়ার্ড থেকে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশ নেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন মো. নুরুল ইসলাম।
তখন নুরুল ইসলাম ৩০১ ভোট এবং তাহার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধি মো. খোকন মিয়া ২৯৭ ভোট পেয়েছিলেন। উক্ত ফলাফলের উপর ভিত্তি করে মো. নুরুল ইসলামকে উক্ত ওয়ার্ডের সদস্য হিসেবে নির্বাচিত করা হয়।
পরে ফলাফল কারচুপির অভিযোগ এনে ওই বছর নির্বাচন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন খোকন মিয়া। দীর্ঘ শুনানীর পর নির্বাচন ট্রাইব্যুনাল প্রায় দুই বছর পর ভোট পুনঃগগনা করেন। এতে মো. খোকন ২৯৭ ভোট এবং নুরুল ইসলাম ২৯৬ ভোট পেয়েছে।
এরপর সংশোধনী বিজ্ঞপ্তি মাধ্যমে গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর গেজেট প্রকাশিত হয়। এদিকে নুরুল ইসলাম আপিল করলে বিষয়টি হাইকোর্ট পর্যন্ত গড়ায়।
হাইকোর্টের রায়ও খোকন মিয়ার পক্ষে আসে। হাইকোর্ট নির্বাচন ট্রাইব্যুনালের রায় বহাল রাখায় খোকন মিয়াকে শপথ বাক্য পাঠ করানো হয়ছে বলে নিশ্চিত করেছে উপজেলা প্রশাসন।
আদালতের রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে মো. খোকন মিয়া বলেন, “আমি ন্যায়বিচারে বিশ্বাসী ছিলাম। দীর্ঘ অপেক্ষার পর জনগণের প্রতিনিধি হিসেবে শপথ নিতে পেরে আমি আনন্দিত।” আমার জন্য সবাই দোয়া করবেন আমার আমার উপর অর্পিত দায়িত্ব যেনো আমি সঠিক ভাবে পালন করতে পারি।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুমাইয়া মমিন বলেন, আদালতের রায়ের ভিত্তিতে খোকন মিয়াকে ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য হিসেবে শপথ পড়ানো হয়েছে। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে প্রশাসন।
সরকার কি আরও নৈরাজ্যের পথে দেশকে ঠেলে দিতে চায়-এমন প্রশ্ন রেখেছেন গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির সদস্য ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ।
গতকাল রোববার দুপুর ১টার দিকে তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক স্ট্যাটাসে সমসাময়িক বিষয় তুলে ধরে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে এমন প্রশ্ন রাখেন তিনি। ওই স্ট্যাটাসে তিনি বলেন, ‘ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে কারা দেশের বিভিন্ন স্থানে মব সন্ত্রাস করছে, কারা মিথ্যা মামলা হামলা করে আটক বাণিজ্য করছে, কারা ভাস্কর্য ও ম্যুরালসহ বিভিন্ন শিল্প কর্ম ভাঙছে, পার্ক-মাজার ও দরবারে হামলা করছে, কারা পূর্বঘোষিত আলোচনা সভায় হামলা করে মুক্তিযোদ্ধা-শিক্ষক ও সাংবাদিকদের জখম করছে, কারা নূরের ওপর হামলা চালিয়ে তাকে রক্তাক্ত করেছে, কারা দখল চাঁদাবাজি করছে, কারা ক্রমাগত হিংসা-বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে, কারা সহিংসতা-মব সন্ত্রাসের উস্কানি দিচ্ছে, কারা বিভিন্নস্থানে ভাঙচুর জবরদখল নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে তাদের চেনা এবং আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া সরকারের জন্য এই কালে খুবই সহজ। এর অনেকগুলোরই ভিডিও আছে। কিন্তু সরকারের কার্যকর ভূমিকা নাই।’
গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের ওপর হামলার প্রসঙ্গ তুলে ধরে এই অর্থনীতিবিদ আরও বলেন, ‘নুরের ওপর হামলা এবং তাকে কেন্দ্র করে ভাঙচুর, নৈরাজ্য এগুলোর কোনোটাই স্বতঃস্ফূর্ত মনে হচ্ছে না। সরকার থেকে প্রতিবাদ এসেছে বেশ দ্রুত। কিন্তু আসল অপরাধীদের বিচার হওয়ার সম্ভাবনা কতটুকু?’ তিনি বলেন, ‘গত সরকারের সময় ‘জিরো টলারেন্স’ শব্দ দু’টি বেশ চালু হয়েছিল। দুর্নীতি, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে এই শব্দ দুটি যত ব্যবহার করা হয়েছে ততই সেগুলো ক্রমাগত বেড়েছে, কারণ কোনো কাজ করা হয়নি। এই সরকারও গত কিছুদিন ধরে ‘জিরো টলারেন্স’ শব্দদুটি ব্যবহার করছে মব সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে। ফলাফল দেখা যাচ্ছে একই। সরকার কি আরও নৈরাজ্যের পথে দেশকে ঠেলে দিতে চায়?’
চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের আমন্ত্রণে সাংহাই সহযোগিতা সংস্থার (এসসিও) শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নেবেন পুতিনসহ প্রায় ২০ জন বিশ্বনেতা। বুধবার দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ৮০ বছর পূর্তি উপলক্ষে রাজধানী বেইজিংয়ে এক বিশাল সামরিক কুচকাওয়াজের আয়োজন করা হয়েছে। রবিবার এবং সোমবার বন্দর নগরীতে সাংহাই সহযোগিতা সংস্থার শীর্ষ সম্মেলন হবে। সেখানে চীন, ভারত, রাশিয়া, পাকিস্তান, ইরান, কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান, তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তান এবং বেলারুশ ছাড়াও আরও ১৬টি দেশ পর্যবেক্ষক বা ‘সংলাপ অংশীদার’ হিসেবে যুক্ত থাকবে।
রাশিয়া এবং চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, স্থানীয় সময় রবিবার সকাল ৯ টা ৩০ মিনিটে তিয়ানজিনে পা রাখেন পুতিন। প্রায়ই এসসিওকে ন্যাটো সামরিক জোটের বিকল্প হিসেবে দাবি করে থাকে চীন ও রাশিয়া। শনিবার চীনের সিনহুয়া নিউজ এজেন্সিতে প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে পুতিন বলেন, এই শীর্ষ সম্মেলন সমসাময়িক চ্যালেঞ্জ এবং হুমকি মোকাবিলায় এসসিওর ক্ষমতাকে শক্তিশালী করবে। তিনি বলেন, এই সবকিছুই একটি ন্যায্য বহুমেরু বিশ্বব্যবস্থা গঠনে সাহায্য করবে।
তাইওয়ানের ওপর চীনের দাবি এবং ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের ফলে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের সঙ্গে দেশ দুটির সম্পর্কের অবনতি ঘটেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বেইজিং এবং মস্কো প্রভাব অর্জনের জন্য এসসিও’র মতো প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করতে আগ্রহী। সিঙ্গাপুরের নানয়াং টেকনোলজিক্যাল ইউনিভার্সিটির সহকারী অধ্যাপক ডিলান লোহ বলেন, চীন দীর্ঘদিন ধরেই এসসিওকে একটি পশ্চিমা-নেতৃত্বের বাইরে একটি শক্তিশালী ব্লক হিসেবে উপস্থাপন করতে চাইছে যা একটি নতুন ধরণের আন্তর্জাতিক সম্পর্ককে উৎসাহিত করে। তাদের দাবি, এটা আরও বেশি গণতান্ত্রিক হবে। ডিলান লোহ বলেন, সংক্ষেপে এটি চীনের-প্রভাবিত বহুপাক্ষিক ব্যবস্থা প্রদান করে যা আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে পশ্চিমা-প্রভাবিত ব্যবস্থা থেকে আলাদা। ২০০১ সালে এই ব্লক প্রতিষ্ঠা হয়। এর সবচেয়ে বড় বৈঠকে ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান এবং ও তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানসহ ২০ জনেরও বেশি নেতা যোগ দেবেন।
এর আগে চীনে পৌঁছান ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শনিবার (৩০ আগস্ট) দেশটির বিমানবন্দরে পৌঁছালে তাকে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এমন এক সময়ে মোদি চীনে গেলেন, যখন তার দেশের রফতানি পণ্যে ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মোদি এ সফরে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে আলাদা বৈঠক করবেন। গত বছর রাশিয়ার কাজানে চীনা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সর্বশেষ বৈঠক করেন মোদি।
ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে রাজনৈতিক দলগুলোকে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আগামী জাতীয় নির্বাচন ও সমসাময়িক বিষয় নিয়ে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতাদের সঙ্গে আলাদাভাবে বৈঠকে এ বার্তা দেন প্রধান উপদেষ্টা।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, নির্বাচন ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। কেউ যদি নির্বাচনের কোনো বিকল্প নিয়ে ভাবে, সেটা হবে এই জাতির জন্য গভীর বিপজ্জনক।
রোববার (৩১ আগস্ট) রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠকে এ কথা বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা। বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
শফিকুল আলম বলেন, বৈঠকে প্রতিটি রাজনৈতিক দলের নেতাদের প্রধান উপদেষ্টা আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন। প্রধান উপদেষ্টা স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, জাতির উদ্দেশ্যে তার দেয়া ভাষণে নির্বাচনের যে সময় ঘোষণা করেছেন সেই সময়েই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। অর্থাৎ ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও উৎসবমুখর পরিবেশে জাতীয় নির্বাচন হবে। সব দলকে প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচন নিয়ে তার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
তিনি আরও জানান, প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, নির্বাচন ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। কেউ যদি নির্বাচন ছাড়া অন্য কোনো বিকল্প ভাবেন, তা জাতির জন্য হবে গভীর বিপজ্জনক।
তিনি বলেন, বৈঠকের মাঝে ঐকমত্য কমিশনের প্রধান আলী রীয়াজ জুলাই সনদ নিয়ে অগ্রগতি জানিয়েছেন।