ঢাকা
খ্রিস্টাব্দ

ইউরোপে যাচ্ছে বাগেরহাটের কাঠের ঘর

দৈনিক লাল সবুজ বাংলাদেশ


আপডেট : বুধবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ১১.১১ পূর্বাহ্ন


নিউজটি দেখেছেনঃ 1858022 জন

  • নিউজটি দেখেছেনঃ 1858022 জন
ইউরোপে যাচ্ছে বাগেরহাটের কাঠের ঘর
ছবি : সংগৃহীত

প্রশিক্ষিত কাঠমিস্ত্রিরা সযত্নে কাঠ দিয়ে তৈরি করছেন বেড়া, দরজা, জানালা এমনকি ছাদ। এই অংশগুলো জুড়ে সুদূর বেলজিয়ামের একটি ইকোপার্কে তৈরি করা হবে ঘর। ক্রেতার শর্ত, ঘরের প্রতিটি অংশ ও উপকরণ হবে পরিবেশবান্ধব। ঘরগুলো তৈরির মূল উপাদান হচ্ছে এলাকা থেকে সংগৃহীত মেহগনি কাঠ।



বেলজিয়াম থেকে চলতি বছরের প্রথম দিকে ১২০টি ঘর তৈরির ফরমায়েশ পান বাগেরহাট বিসিক শিল্পনগরীর উদ্যোক্তা মোস্তাফিজ আহমেদ। তাঁর প্রতিষ্ঠানের নাম ন্যাচারাল ফাইবার। আগামী দুই বছরের মধ্যে ১২০টি ঘর বেলজিয়ামে পাঠাতে হবে মোস্তাফিজ আহমেদকে। চুক্তি হয়েছে, দেশি মেহগনি কাঠ দিয়ে ঘরগুলো তৈরি করতে হবে।



ঘরগুলো তৈরির সব উপকরণ হতে হবে বায়োডিগ্রেডেবল। অর্থাৎ এমন জৈব উপকরণ, যা পুরনো বা নষ্ট হলে একসময় পরিবেশের সঙ্গে মিশে যায়। পরিবেশের ক্ষতি হয় এমন কোনো উপকরণ ব্যবহার করা চলবে না। বাগেরহাটের সদর উপজেলার নিভৃত কররী গ্রামে ন্যাচারাল ফাইবার কম্পানির নিজস্ব কারখানায় তৈরি করা হচ্ছে কাঠের এই ঘরগুলো।



কর্মীদের মধ্যে কেউ তৈরি করছেন ঘরের দরজা-জানালা, কেউ বা মূল ফ্রেম আবার কেউ দেয়াল। সব শেষে শ্রমিকদের নিপুণ হাতের রং ও পলিশের মাধ্যমে শেষ হচ্ছে কাজ।  এই ঘরগুলো দৈর্ঘ্যে মোটামুটি ৩০ ফুটের কিছু বেশি এবং প্রস্থে ১২ ফুটের মতো। ঘরগুলো এমনভাবে তৈরি, যাতে ছোট ছোট আকারে খণ্ড করে সহজে অন্যত্র পরিবহন করা যায়। গন্তব্যে যাওয়ার পর খণ্ডাংশগুলো ঠিকঠাক জুড়ে দিলেই হয়ে যাবে আস্ত ঘর।



কাজে ব্যস্ত কাঠমিস্ত্রি মোজাহিদ কালের কণ্ঠকে বললেন, ‘আমাদের প্রথমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। তারপর ডিজাইন দেখে আমরা সম্পূর্ণ একটি ঘর তৈরি করেছি। ক্রেতারা ছবি দেখে পছন্দ করেছেন। এখন আমরা পুরোদমে কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।’ আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে একেকটি ঘর তৈরি করতে এক সপ্তাহ সময় লাগে। এ জন্য প্রায় দুই শ শ্রমিক কাজ করছেন।



শরিফুল ইসলাম নামে আরেকজন কর্মী বললেন, ‘আমরা আগে কখনো এ ধরনের ঘর তৈরি করিনি। এখন দেখছি খুবই সুন্দর হয়েছে ঘরগুলো।’ ন্যাচারাল ফাইবারের কনসালট্যান্ট মো. মনিরুজ্জামান মোল্লা শাহিন বলেন, ঘরগুলো মোংলা বন্দর দিয়ে রপ্তানি করা গেলে সময় ও অর্থের সাশ্রয় হতো। এখন তাঁদের পণ্য চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে পাঠাতে হয়। এর আগে ন্যাচারাল ফাইবারের কারখানায় তৈরি কাঠের বিভিন্ন পণ্য ইউরোপের বাজারে পাঠানো হতো। প্রতিষ্ঠানটিতে তখন তৈরি হতো কাঠের সাইকেল, সানবেড, হোটেল বেড, কুকুর-বিড়ালের খেলনা ইত্যাদি। তবে বর্তমানে শুধু কাঠের ঘরই তৈরি করছে তারা।



বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের (বিসিক) বাগেরহাট শিল্পনগরীর কর্মকর্তা ইউনুস আর রাফি বললেন, ‘এ ধরনের পণ্য বিদেশে গেলে আমাদের দেশের সুনাম বাড়বে। আগ্রহী উদ্যোক্তাদের সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।’


নিউজটি পোস্ট করেছেনঃ এলএসবিডি/হেনা

কমেন্ট বক্স
দৈনিক লাল সবুজ বাংলাদেশ



আপডেট : বুধবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ১১.১১ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদ