সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পলায়নের পর থেকে দেশে আইনশৃঙ্খলার অবনতির ঘটনা ঘটছে। পুলিশের সর্বোচ্চ চেষ্টা সত্ত্বেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হচ্ছে না। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পরেও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি; বরং একের পর এক সহিংসতার ঘটনা ঘটছে।
পুলিশ সদস্যদের ওপর আক্রমণ, শ্রমিক আন্দোলন, মব জাস্টিস এবং পার্বত্য অঞ্চলে সংঘাতের ঘটনা দেশব্যাপী উদ্বেগ সৃষ্টি করছে। সরকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনীসহ অন্যান্য বাহিনীর কমিশনপ্রাপ্তদের দায়িত্ব দিয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ওপর জোর দিচ্ছেন।
সড়কসহ বিভিন্ন এলাকায় আইন ভাঙার মহোৎসব চলছে এবং ট্রাফিক পুলিশ কার্যত অকার্যকর হয়ে পড়েছে। শ্রমিকদের আন্দোলনে প্রাণহানির ঘটনাও ঘটেছে। এছাড়া, বিভিন্ন ধর্মীয় উপাসনালয়ে হামলার ঘটনা ঘটেছে, যা সামাজিক সহিষ্ণুতার অভাবের দিকেও ইঙ্গিত করে।
বিশিষ্ট ব্যক্তিরা সরকারের কাছে বিভিন্ন সুপারিশ করেছেন। তারা বলছেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে প্রয়োজন প্রচার, জনমত তৈরি এবং আইনগত সংস্কার। একইসাথে, পুলিশ বাহিনীকে জনগণের বিশ্বাস অর্জনের চেষ্টা করতে হবে।
সরকারের পক্ষ থেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে, তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, কার্যকরী পদক্ষেপ ছাড়া এই সংকট কাটানো সম্ভব নয়।
সার্বিকভাবে, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে রয়ে গেছে, যা দ্রুত সমাধানের প্রয়োজন।