চট্টগ্রামের জোরারগঞ্জ থানা পুলিশ ওমর ফারুক ওরফে নয়ন (৩৭) নামের এক আসামীকে গ্রেফতার করেছে। তার বিরুদ্ধে গুরুতর সংঘবদ্ধ এবং পালক্রমে গণধর্ষনের অভিযোগ রয়েছে। যিনি গণধর্ষনের শিকার হয়েছেন তিনি একজন মানসিক প্রতিবন্ধী। দীর্ঘদিন সে (গ্রেফতারকৃত আসামী) পলাতক ছিল। পুলিশ জানায় তাকে গ্রেফতারের অব্যাহত অভিযানও চলমান ছিল। রোববার (১৮ নভেম্বর) নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জোরারগঞ্জ থানার সেকেন্ড অফিসার (এসআই) আরিফ হোসেন।
এই মামলায় অভিযুক্ত আরো তিনজন রয়েছে। অভিযুক্ত সকলের ঠিকানা মিরসরাই উপজেলার দক্ষিণ ধুম এলাকার ৪ নং ধুম ইউনিয়নে।
আরিফ হোসেন জানান, গণধর্ষণ একটি স্পর্শকাতর বিষয়। আমাদের অফিসার ইনচার্জ স্যার (এটিএম শিফাতুল মাজদার) বিষয়টি নিয়ে আসামী গ্রেফতারে খুব তৎপর ছিলেন। তিনি নির্দেশনা প্রদান করায় 'র্যাব- ১১ এবং র্যাব-৭' এর সহযোগিতা নিয়ে জোরারগঞ্জ থানা টিম তাকে (আসামী ওমর ফারুক) সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকা থেকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। সে একজন দুষ্কৃতিকারী এবং দূ-চরিত্রের লোক। এলাকায় তার বিষয়ে ব্যাপক অভিযোগ রয়েছে, তার গ্রেফতারের খবরে এলাকার মানুষ স্বস্তি প্রকাশ করেছে বলেও গ্রেফতারের পর জানায় পুলিশ। ঘটনার বিবরনী সূত্রে জানা যায়, ঘটনার সময় ২৪ জুলাই ২০২৪ ইং রাত ১১ টা। মামলার ভিকটিম এনাক্তার (ছদ্মনাম)। জোরারগঞ্জ থানায় মামলা নং- ১৪/১৪২। অভিযোগ দায়ের পূর্বক মামলা করেছেন ভুক্তভোগীর ভাবী জান্নাতুল নাঈমা (২০)।
আসামীদের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক গণধর্ষণ এবং আহত করার ধারা ৯(৩) নারী ও শিশু নির্যাতন আইন- ২০০০ (সংশোধিত ২০২০) অপরাধের আলোকে মামলা দায়ের হয়েছে।
মামলার বাদী জান্নাতুল নাঈমা (২০) অভিযোগে উল্লেখ করেন, তার ননদ এনাক্তার (ছদ্মনাম) মানসিক প্রতিবন্ধী। সে প্রায়ই মানসিক বিকারগ্রস্থ হয়ে ঘর থেকে সকলের অজান্তেই বের হয়ে যেত। ঘটনার দিন রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ ঘর থেকে বের হলে ১১টার দিকে অভিযুক্ত আসামীরা তাকে মুখ ছেপে ধরে একটি পুকুর পাড়ে নিয়ে গিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। এই অভিযোগে অন্য অভিযুক্তরা হলেন, মো. সম্রাট (২১), মো. রিয়াজ (২১), মো. কাউছার (২০)।
এবিষয়ে জানতে জোরারগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এটিএম সিফাতুল মাজদার জানান, দীর্ঘদিন পলাতক থাকা অভিযুক্ত গণধর্ষণ মামলার প্রধান আসামী ওমর ফারুককে অভিযান পরিচালনা করে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া সম্পাদনের জন্য চট্টগ্রামে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিট্রেটের আদালতে পাঠানো হয়েছে। আদালত গ্রেফতারকৃত আসামীকে পরবর্তী আইনী ব্যাবস্থা গ্রহনের জন্য জেলহাজতে প্রেরণ করেন।