নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ী উপজেলার যুবক মো: আশেক ইলাহী (২২)। যিনি দীর্ঘ ৯ বছর ধরে সিজোফ্রেনিয়ায় ভুগছিলেন, হঠাৎ বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েন। একদিকে পরিবার তার সন্ধানে ঘুরছে, খুঁজে ফিরছেন প্রিয়জনকে; অপরদিকে নিজের অজান্তে তিনি (আশেক) বিভিন্ন স্থানে ঠিকানাহারা হয়ে দিকবিদিক ঘুরে বেড়াচ্ছেন। এভাবেই ভারসাম্যহীন ভাবে ঘুরেছন! এরইমধ্যে, গত ১৭ অক্টোবর বারইয়ারহাট বাজারে একটি মোটরসাইকেলে বসে থাকাকালীন স্থানীয় লোকজন চোর সন্দেহে তাকে (আশেক) মারধর করে।
ঘটনাস্থলেই হাজির হয় জোরারগঞ্জ থানার পুলিশ। তাৎক্ষনিক পুলিশ সদস্যরা ঘটনা জানার পর তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। সেখানে তার এলোমেলো বক্তব্যে তার মানসিক অবস্থার অবনতি বুঝতে পারে পুলিশ কর্মকর্তা, অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এটিএম সিফাতুল মাজদার। তিনি চেষ্টা করেন তার কাছ থেকে পরিচয় বের করার। প্রসঙ্গক্রমে, পিতা অবসরপ্রাপ্ত সিভিল কর্মকর্তার পরিচয় পেয়ে পুলিশ তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করে।
জোরারগঞ্জ থানার সেকেন্ড অফিসার (এসআই) আরিফ হোসেন জানান, আমাদের ওসি স্যারের (এটিএম সিফাতুল মাজদার) সঠিক তৎপরতায় এবং সার্বিক পরামর্শক্রমে মানসিক ভারসাম্যহীন আশেক ইলাহী'র পরিবারের সাথে যোগাযোগ করতে সক্ষম হই। হারানো প্রিয়জনের খুঁজে পাওয়ায় খবরে আশেক ইলাহী'র পরিবারের সদস্যরা থানায় আসে। পরবর্তীতে, ওসি স্যারের মানবিকতায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (মাহফুজা জেরিন) সহযোগিতায় ইউনিয়ন সমাজ কর্মীর মাধ্যমে তাকে সুচিকিৎসার জন্য পরিবারের হাতে হস্তান্তর করা হয় বলে জানান তিনি।
জোরারগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ এটিএম সিফাতুল মাজদার এবিষয়টি নিয়ে সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আমি চেষ্টা করেছি একজন ঘরছাড়া মানুষকে তার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিতে। এটি আমার দায়িত্ব এবং মানবিক কাজ বলেন ওসি। শনিবার (১৯ অক্টোবর) তাকে পরিবারের কাছে তুলে দেয়া হয়েছে জানিয়ে এই পুলিশ কর্মকর্তা জানান, পরিবার ফিরে পেয়ে খুশি আশেক এলাহী এবং তার পরিবারের সদস্যরা, এটা পুলিশ ডিপার্টমেন্টের মানবিক কাজের অংশ।