চীনের চ্যাং'ই ৬ মিশন মহাকাশ গবেষণায় একটি উল্লেখযোগ্য অর্জন। এই মিশনের মাধ্যমে চাঁদের অপর পৃষ্ঠ থেকে নমুনা সংগ্রহ করে তা পৃথিবীতে ফেরত আনা হয়েছিল। চ্যাং'ই ৬ মিশন চাঁদের এমন একটি স্থানে অবতরণ করে, যা আগে কখনও স্পর্শ করা হয়নি—চাঁদের দূরবর্তী পৃষ্ঠ, যা পৃথিবী থেকে সরাসরি দেখা যায় না। চ্যাং’ই ৬-এর প্রধান লক্ষ্য ছিল চাঁদের দূরবর্তী পৃষ্ঠের ভৌত ও রাসায়নিক বৈশিষ্ট্য বোঝা এবং সেখানে কী ধরনের উপাদান রয়েছে, তা বিশ্লেষণ করা।
এ ছাড়াও, চাঁদের এই অংশের ভিন্ন প্রকৃতি এবং এর পৃষ্ঠের গঠন নিয়ে গবেষণা করা হয়েছিল। প্রাথমিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, চাঁদের দুই পৃষ্ঠ—প্রত্যক্ষ ও অপ্রত্যক্ষ পৃষ্ঠ—গঠনে ব্যাপক পার্থক্য রয়েছে। চাঁদের দূরবর্তী পৃষ্ঠের রাসায়নিক উপাদান এবং ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্য আমাদের সৌরজগতের প্রাচীন ইতিহাস সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করে। এই নমুনাগুলি গবেষকদের চাঁদের সৃষ্টি, ভূতাত্ত্বিক ইতিহাস এবং মহাকাশের পরিবর্তনশীল পরিস্থিতি সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে সাহায্য করবে।
এই মিশনের মাধ্যমে চাঁদের অপর পৃষ্ঠ থেকে সংগৃহীত নমুনা চন্দ্রজ্ঞানকে সমৃদ্ধ করবে এবং ভবিষ্যতের মহাকাশ গবেষণার পথ আরও সুগম করবে। বিজ্ঞানীরা এই নমুনা বিশ্লেষণ করে জানতে পারবেন চাঁদের গঠন কীভাবে মহাবিশ্বের অন্যান্য গ্রহ এবং উপগ্রহের সাথে তুলনীয়, এবং কীভাবে চাঁদ মহাকাশে তার নিজস্ব অবস্থান তৈরি করেছে।
চ্যাং'ই ৬ মিশন মহাকাশ গবেষণায় একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে এবং চাঁদ সম্পর্কিত অনেক অজানা তথ্য উন্মোচনের সম্ভাবনা তৈরি করেছে?।