মাদারীপুরের শিবচরে বিভিন্ন হাট-বাজারে ঘুরে দেখা যায় তালের শাঁসের তুলনামূলক দাম বেশি। চাহিদা বেশি থাকায়, ব্যবসায়ীরা বেশি দামে বিক্রি করছেন।
বুধবার (২৮ মে) উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে ঘুরে দেখা যায়, ক্রেতাদের তালের শাঁসের চাহিদা কিছুটা বেশি থাকায়। বিক্রেতাদের বাড়তি দামে বিক্রি করতে দেখা যাচ্ছে। যোগাযোগের ব্যবস্তা ভালো থাকায় গ্রামগঞ্জের গুন্ডি পেরিয়ে শহরের অলিতে গলিতে ব্যবসায়ীদের বিক্রি করতে দেখা যাচ্ছে।
শিবচরের শহরে-গ্রামে,হাটে, বাজারে গরমে তাল শাঁস খাওয়া খুবই জনপ্রিয়। কিন্তু আমাদের দেশে চাহিদা মত এখন আর আগের মত তাল শাঁস গুরুত্ব দিয়ে খাচ্ছে না। হাটে-বাজারে প্রচুর তালের শাঁস উঠে থাকে। যে পরিমানে বাজারে তালের শাঁস উঠে। দাম বেশি হওয়ায়, ব্যবসায়ীরা অনেকটা খুশি। এছাড়াও আজকাল বিভিন্ন হাট বাজার ছাড়াও প্রত্যন্ত অঞ্চলে ঘুরে ভ্যান গাড়িতে করে শাঁস বিক্রি করতে দেখা যাচ্ছে।
৯০ দশকের সময় গ্রাম বাংলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছোট বড় সহ অসংখ্য তালগাছে তাল শাঁস দেখা যেত।তখন দাম ও হাতের নাগালে ছিল।কিন্তু আজকাল তালগাছ অনেক কমে গেছে বিধায় তাল শাঁসও কম হচ্ছে। তাই পাইকারীরা,গৃহস্থদের কাছ থেকে এই কাঁচা তালের দাম খরচসহ বাড়তি দামে কিনে থাকে বলে জানতে পারি।
ভ্যান গাড়ীতে করে তালশাঁস বিক্রেতা মোঃ শহিদ শেখ জানান,আমরা দুর দুরান্ত থেকে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে চুক্তিতে তালশাঁস কিনে থাকি,আবার পারপিছ হিসাবে ও কিনে আনি। প্রতি পিছ শাঁস তিন আটি কেটে ১৫/২০ টাকা করে বিক্রি করছি।আবার দুুই আটি ১৫ টাকা বিক্রি করছি। আবার অনেকেই কানি ধরে কিনে নিচ্ছে।সেই হিসাবে কিছুটা কম দামেই পাকারী রেট ধরে বেচে থাকি। এতে আমরা সব খরচ বাদ দিয়ে প্রায় অর্ধেক টাকা লাভ করছি।
শিবচর পৌর মার্কেটের সামনে মোঃ শহিদ শেখ, চান্দেরচর বাজারে, কাশেম, উৎরাইল, শাহিন কুতুবপুর হাটের মনির হোসেন নামে এক বিক্রেতা বলেন, গাছ থেকে কষ্ট করে জীবনের নিরাপত্তার ঝুকি নিয়ে গাছে উঠে কাঁচা তাল পারতে হয়। পরিশ্রমের তুলনায় লাভের অংশ তুলনামূলক বেশি হলেও বিক্রির হার তুলনামূলক কম থাকায় ব্যবসায় তেমন সাফল্য দেখছি না।
আজকাল তালশাঁস সবাই তেমন গুরুত্ব দিয়ে খাচ্ছে না। স্বাস্থ্যর উপকারে এই কাঁচা তাল শাঁস খাওয়া অতি প্রয়োজন। গ্রীষ্মের অন্যতম সু-স্বাদু ও পুষ্টি থাকায় স্বাস্থ্যর উপকার হয় বলে মনে করেন অনেকে।