ঘূর্ণিঝড় রিমালের কারণে বন্ধ রয়েছে চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্যক্রম। এ কারণে চট্টগ্রাম থেকে আজ রোববারের হজ ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। বাতিল হওয়া ফ্লাইটের ৩১৭ হজযাত্রীকে বাসে করে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় পাঠানো হচ্ছে। ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে প্লেনে উঠবেন তারা।
রোববার (২৬ মে) রাত আটটায় গণমাধ্যমকে বিষয়টি জানিয়েছেন শাহ আমানত বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন তাসলিম আহমেদ।
তিনি বলেন, ‘আজ সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ৩১৭ জন হজযাত্রী নিয়ে সৌদি আরবের জেদ্দার উদ্দেশে উড্ডয়নের কথা ছিল বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইট বিএজি-১৩৫। কিন্তু শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্যক্রম বন্ধ থাকায় বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইট বাতিল করা হয়। বাতিল হওয়া ফ্লাইটের যাত্রীদের বিকেল ৫টায় নয়টি বাসে চট্টগ্রাম বিমানবন্দর থেকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।’
এর আগে রোববার সকালে জানানো হয়, আজ দুপুর ১২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। পরে সে সময় বাড়িয়ে আগামীকাল সকাল ৮টা পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
পরিস্থিতির অবনতি হলে এ সময় আরও বাড়ানো হতে পারে বলে জানিয়েছেন শাহ আমানত বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন তাসলিম আহমেদ।
এদিকে, বঙ্গপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় এরই মধ্যে উপকূল অতিক্রম শুরু করেছে। রোববার সন্ধ্যা ৬টার পর এটি বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম শুরু করে। রিমালের প্রভাবে বিকেল থেকে দেশের উপকূলীয় অঞ্চলে দমকা বাতাস বইছে, সঙ্গে আছে বৃষ্টি। বিভিন্ন জেলায় বাঁধ ভেঙে তলিয়ে গেছে অনেক গ্রাম। আশ্রয়কেন্দ্রে ছুটছে হাজারও মানুষ।
আবহাওয়া অধিদপ্তর সর্বশেষ বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ১২০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর বিক্ষুব্ধ রয়েছে।
এছাড়াও উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।