ঢাকা
খ্রিস্টাব্দ

মিল্টনের সেই আশ্রমে এখন সুনসান নীরবতা

দৈনিক লাল সবুজ বাংলাদেশ


আপডেট : বুধবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ১১.১১ পূর্বাহ্ন


নিউজটি দেখেছেনঃ 1890068 জন

  • নিউজটি দেখেছেনঃ 1890068 জন
মিল্টনের সেই আশ্রমে এখন সুনসান নীরবতা
ছবি : সংগৃহীত

এক দশক ধরে যে প্রতিষ্ঠানটি মানবিকতার সেবায় পরিচিত ছিল, অসহায় বৃদ্ধদের নির্ভরতার স্থান ছিল, আজ সে প্রতিষ্ঠান অনেকটাই নীরব আর সুনসান। প্রতারণার অভিযোগে মিল্টন সমাদ্দারকে গ্রেপ্তারের পর একপ্রকার বন্ধ হয়ে গেছে চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ারের দরজা।


শুক্রবার (৩ মে) সরেজমিনে মিরপুরের দারুস সালাম এলাকার কল্যাণপুর নতুন বাজার রোডে অবস্থিত আলোচিত চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ারে প্রবেশ করে দেখা যায়, পুরো প্রতিষ্ঠানটি সুনসান ও নীরব। প্রধান ফটকটি বন্ধ রয়েছে। প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট ছাড়া বহিরাগত কেউই সেখানে প্রবেশ করতে পারছেন না।


কথা হয় চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ারের নিরাপত্তাকর্মী রাসেলের সঙ্গে। তিনি বলেন, ডিবি পুলিশ এখানে সবার জন্য প্রবেশ নিষেধ করে দিয়েছে। হয় ডিবি থেকে অনুমতি আনতে হবে, অথবা প্রশাসনসহ এখানে প্রবেশ করতে হবে। যতদিন অবধি সমস্যার সমাধান না হবে ততদিন অবধি এই নিয়মে চলবে।


ভেতরের পরিস্থিতি স্বাভাবিক জানিয়ে তিনি বলেন, ভেতরে কোনো সমস্যা নেই, সব স্বাভাবিকভাবেই চলছে। প্রতিষ্ঠানের লোকজন সব খেয়াল রাখছেন।


অপরদিকে মিল্টন সামাদ্দারকে নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে স্থানীয় এবং এলাকাবাসীর মধ্যে। যদিও বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে রাজি হননি অধিকাংশরাই। আশ্রমের পাশের একটি চায়ের দোকান এবং পরের কয়েকটি মুদি দোকানে তার কার্যক্রমের ব্যাপারে জানতে চাইলে অধিকাংশরাই বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে নারাজ। 


নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বলেন, আমরা এতদিন মিল্টন সমাদ্দারের ব্যাপারে এতকিছু জানতাম না। যেসব অপরাধের বিষয়ে বলা হচ্ছে সেগুলো আমাদের ধারণায় ছিল না। তিনি এখানে আশ্রম পরিচালনা করতেন এতটুকুই জানতাম। তবে তার খারাপ আচরণের বিষয়টি এখানকার ছোট-বড় সবাই জানেন। কারণ প্রায়শই আশ্রমে আসা দর্শনার্থী কিংবা লোকজন খারাপ আচরণের অভিযোগ করতেন। এমনকি আত্মীয়-স্বজন পরিচয় দিলেও অনেক সময় দেখা করতে দেওয়া হতো না। এসব কিছু আমরা স্থানীয় দোকানি হিসেবে জানতাম। আর এখন পত্রপত্রিকায় নিউজ হওয়ার পর বাকি বিষয়গুলো জেনেছি।


এর আগে, বুধবার (১ মে) রাতে রাজধানীর মিরপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে মিল্টন সমাদ্দারকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। পরদিন বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এ সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তার ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। 


সম্প্রতি মিল্টন সমাদ্দারের বিভিন্ন অপকর্ম নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এরপর থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাকে নিয়ে শুরু হয় সমালোচনার ঝড়। মুখ খুলতে থাকেন ভুক্তভোগীরাও। যদিও কয়েকটি গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিয়ে তার বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ অস্বীকার করেন মিল্টন সমাদ্দার।


নিউজটি পোস্ট করেছেনঃ এলএসবিডি/হেনা

কমেন্ট বক্স
দৈনিক লাল সবুজ বাংলাদেশ



আপডেট : বুধবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ১১.১১ পূর্বাহ্ন