কুমিল্লার তিতাসে ট্রাক্টর চালক নজরুল ইসলাম ভূইয়াকে ৮টুকরো করে নৃশংসভাবে হত্যায় জড়িত সকল অপরাধীকে গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবিতে সর্বস্তরের জনগণের ব্যনারে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার ১৩ আগস্ট বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নিহতের বাড়ী শাহবৃদ্ধি গ্রাম থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের হয়ে হোমনা-গৌরীপুর আঞ্চলিক মহাসড়ক প্রদক্ষিণ করে কড়িকান্দি সদর হয়ে উপজেলা পরিষদ চত্বরে গিয়ে সংক্ষিপ্ত প্রতিবাদ সভায় মিলিত হয়।
প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন, তিতাস উপজেলা ব্যবসায়ী ফোরামের সভাপতি মোঃ ছবির হোসেন, মজিদপুর ইউনিয়ন বিএনপি সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবুল কাশেম বাবুল ভূঁইয়া, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মোঃ হেলাল ভূঁইয়া, ৬নং ওয়ার্ড জামায়াত ইসলামীর সভাপতি মোঃ এমদাদুল হক ভূঁইয়া, মোঃ আজহারুল ইসলাম ভূঁইয়া মেম্বার, ব্যাংক কর্মকর্তা মোঃ শাখাওয়াত হোসেন, সমাজ সেবক মোঃ হাসান ভূঁইয়া, নিহতের মা আয়েশা বেগম, স্ত্রী বৃস্টি আক্তার প্রমূখ।
সভায় বক্তারা বলেন, নজরুল ইসলাম ভূঁইয়া একজন হাসি-খুশি আন্তরিক মনের মানুষ ছিলেন। কিন্তু তাকে ৮টুকরো করে এমন নৃশংসভাবে হত্যা করেছে; যা খুবই দুঃখজনক। আর এই ঘটনা আটক স্বামী-স্ত্রী একা করতে পারবে না বলে সন্দেহ প্রকাশ করে প্রতিবাদকারীরা। এর পেছনে আরও একাধিক ব্যক্তি জড়িত রয়েছে বলে তারা দাবি করেন এবং দ্রুত সকল জড়িতদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ফাঁসির দেয়ার অনুরোধ করেন।
পরে তিতাস থানার অফিসার ইনচার্জ ও.সি মোঃ শহিদ উল্যাহ বিক্ষোভকারীদের আস্বস্ত করলে মানববন্ধন তুলে নেন এবং অর্ধ শতাধিক গ্রামবাসীর স্বাক্ষরসহ একটি স্বারকলিপি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে জমা দেন।
উল্লেখ্য, গত ৬আগস্ট রাতে তিতাসের মজিদপুর ইউনিয়নের শাহবৃদ্ধি গ্রামের হানিফ ভূঁইয়ার ছেলে ট্রাক্টর চালক মোঃ নজরুল ইসলাম ভূঁইয়াকে পার্শ্ববর্তী মজিদপুর গ্রামের মজু মিয়ার ছেলে হোসেন ও তার স্ত্রী স্মৃতি মোবাইলে ফোন দিয়ে ডেকে নিয়ে কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। পরে নিহতের দেহকে ৮টি টুকরো করে বস্তায় ভরে বিভিন্ন স্থানে ফেলে দেয়। পরে পুলিশ হত্যার রহস্য উদঘাটন করে ১০তারিখ খন্ডিত দুই হাত ও ১১তারিখ দুই পায়ের খন্ডিত ৪টুকরো উদ্ধার করে।