ঢাকা
খ্রিস্টাব্দ

খালে জাল বসানোর ঝগড়া থেকে খুন, চট্টগ্রামে ৫ জনের ফাঁসির আদেশ

দৈনিক লাল সবুজ বাংলাদেশ

নিজস্ব সংবাদদাতা | দৈনিক লাল সবুজ বাংলাদেশ
চট্টগ্রাম
মঙ্গলবার, ০৫ আগস্ট ২০২৫, ১২.১৯ পূর্বাহ্ন

আপডেট : মঙ্গলবার, ০৫ আগস্ট ২০২৫, ১২.১৯ পূর্বাহ্ন


নিউজটি দেখেছেনঃ 347493 জন

  • নিউজটি দেখেছেনঃ 347493 জন
খালে জাল বসানোর ঝগড়া থেকে খুন, চট্টগ্রামে ৫ জনের ফাঁসির আদেশ
ছবি : সংবাদদাতা প্রেরিত।

চট্টগ্রামে একটি হত্যা মামলায় তিন ভাইসহ ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ৩ জনকে খালাস দিয়েছেন একটি আদালত। সোমবার  চট্টগ্রাম অতিরিক্ত চতুর্থ জেলা ও দায়রা জজ রোজিনা খানের আদালত আনোয়ারা থানার আবদু শুক্কুর হত্যা মামলায় এই রায় দেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- আনোয়ারার পশ্চিম সিংহরা এলাকার খাইরুজ্জামানের ছেলে আহামদ মিয়া (৪৯), মো.ইলিয়াছ (৫৪), নুরুল আবছার (৩৬), একই এলাকার মেহেরুজ্জামানের ছেলে মো.রফিক (৪৬) ও মো.সোলায়মান। খালাসপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- আবদুল কুদ্দুছ, মো.আনোয়ার ও মো.এনাম। রায় ঘোষণার সময় মো.ইলিয়াছ ও নুরুল আবছার আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাদের সাজা পরোয়ানামূলে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। পলাতক আহামদ মিয়া, মো.রফিক ও মো.সোলায়মানের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।  


জানা গেছে, ২০১১ সালের ১৯ আগস্ট রাতে আনোয়ারা উপজেলার চাতরি ইউনিয়নের পশ্চিম সিংহরা গ্রামের বাসিন্দা আবদু শুক্কুরকে (৫৫) খুন করা হয়। দুইদিন পর তার লাশ বাড়ির অদূরে একটি মুরগির ফার্মের পাশে ধানের জমিতে পাওয়া যায়। এ ঘটনায় তার ছেলে মোহাম্মদ মিজান বাদী হয়ে ৭ জনের বিরুদ্ধে আনোয়ারা থানায় মামলা করেন।


মামলার নথিপত্রে উল্লেখ করা তথ্য অনুযায়ী, খুনের শিকার আবদু শুক্কুর জায়গা-জমি কেনাবেচার মধ্যস্থতা করতেন। ২০১১ সালের ১৯ আগস্ট রাত সাড়ে ১১টার দিকে বাড়ির অদূরে খালে জাল বসানো নিয়ে প্রতিবেশি কয়েকজনের সঙ্গে তার ঝগড়া হয়। এরপর তিনি বাড়ি ফিরে ঘুমিয়ে পড়েন। রাত দেড়টার দিকে অজ্ঞাত একটি নম্বর থেকে তার মোবাইলে কল দিয়ে তাকে ঘরের বাইরে ডেকে নেওয়া হয়।এরপর আবদু শুক্কুরকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে খুন করে লাশ আরও দূরে নিয়ে ধানের জমিতে ফেলে দেওয়া হয়। দুইদিন নিখোঁজ থাকার পর গ্রামের একটি মুরগির ফার্মের মালিক মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ তার ফার্মের পেছনে ধানের জমিতে লাশ দেখতে পান। এরপর স্থানীয় লোকজন ও পরিবারের সদস্যরা গিয়ে লাশ উদ্ধার করেন।ওই মামলা তদন্ত শেষে ২০১১ সালের ২৮ নভেম্বর পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়। এতে আটজনকে আসামি করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের পর ১০ জনের সাক্ষ্য নিয়ে আদালত এ রায় দেন।


আদালতের বেঞ্চ সহকারী হাফেজ আহম্মদ জানান, দণ্ডবিধির ৩০২ ও ৩৪ ধারায় ১০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যপ্রমাণে প্রায় ১৪ বছর আগের আনোয়ারা থানার আবদু শুক্কুর হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তিন সহোদরসহ ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড ও প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড এবং তিনজন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় খালাস দিয়েছেন আদালত।   


তিনি বলেন, দণ্ডিতদের মধ্যে মো. রফিক পলাতক আছেন। বাকি চারজন রায় ঘোষণার সময় আদালতে হাজির ছিলেন। আদালত তাদের সাজামূলে কারাগারে পাঠানোর এবং রফিকের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা জারির আদেশ দেন।



নিউজটি পোস্ট করেছেনঃ এলএসবিডি/হেনা

কমেন্ট বক্স
বাংলাদেশ | জাতীয়
দৈনিক লাল সবুজ বাংলাদেশ

নিজস্ব সংবাদদাতা | দৈনিক লাল সবুজ বাংলাদেশ
চট্টগ্রাম
মঙ্গলবার, ০৫ আগস্ট ২০২৫, ১২.১৯ পূর্বাহ্ন
আপডেট : মঙ্গলবার, ০৫ আগস্ট ২০২৫, ১২.১৯ পূর্বাহ্ন