ঢাকা
খ্রিস্টাব্দ

২০২৫-২৬ অর্থবছরের ১১৪টি প্রস্তাবনা চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীদের

দৈনিক লাল সবুজ বাংলাদেশ

নিজস্ব সংবাদদাতা | দৈনিক লাল সবুজ বাংলাদেশ
চট্টগ্রাম
শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫, ১১.৩৭ পূর্বাহ্ন

আপডেট : শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫, ১১.৩৭ পূর্বাহ্ন


নিউজটি দেখেছেনঃ 876305 জন

  • নিউজটি দেখেছেনঃ 876305 জন
২০২৫-২৬ অর্থবছরের ১১৪টি  প্রস্তাবনা চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীদের
ছবি : সংবাদদাতা প্রেরিত।

যারা ব্যবসা বাণিজ্য করছেন, দেশের জন্য কর্মসংস্থান করছেন তারা রিয়েল হিরো বলে মন্তব্য করেছেন অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সচিব ও জাতীয় রাজম্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান।বৃহস্পতিবার দুপুরে আগ্রাবাদ ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের সম্মেলন কক্ষে প্রাক বাজেট আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।


এ সময় আসন্ন ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটকে ব্যবসা ও শিল্পবান্ধব করতে আয়কর বিষয়ক ১৯টি, ভ্যাট বিষয়ক ৪০ ও শুল্ক বিষয়ক ৫৫টি প্রস্তাবনা দেন চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীরা। প্রস্তাবনা বিবেচনার আশ্বাস দিয়ে রাজস্ব বোর্ডের সকল কার্যক্রম সহজ ও অনলাইনভিত্তিক করার চেষ্টা করছেন বলে জানিয়েছেন এনবিআর চেয়ারম্যান।


চিটাগং চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের প্রশাসক মুহাম্মদ আনোয়ার পাশার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উইমেন চেম্বার, মেট্রোপলিটন চেম্বার, রাঙামাটি ও কক্সবাজার চেম্বারসহ বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধি। এসময় তিনি এনবিআর চেয়ারম্যানের কাছে লিখিত প্রস্তাবনা তুলে দেন।


সভায় চট্টগ্রাম উইমেন চেম্বারের সভাপতি আবিদা সুলতানা বলেন,বর্তমানে দেশের নারীরা প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে ব্যবসাক্ষেত্রে এগিয়ে আসছেন। বাজেটে তাদের দিকে বিশেষ নজর রাখা দরকার। ভ্যাট-ট্যাক্সের ক্ষেত্রেও তাদের বিষয়ে অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত।


চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বারের সভাপতি খলিলুর রহমান বলেন, মেশিনারিজের ক্ষেত্রে বড় অঙ্কের ভ্যাট-ট্যাক্স দিতে হচ্ছে। রপ্তানি-আমদানি আরও সহজ করার লক্ষে এটির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া দরকার।

চট্টগ্রাম চেম্বারের সাবেক সভাপতি সরওয়ার জামাল নিজাম বলেন, বাংলাদেশের এখনও ৫৫ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করে। ভ্যাটকে সহনীয় পর্যায়ে এনে জনসাধারণের যাতে সুবিধা হয় সে ব্যবস্থা নেওয়া হোক। সরাসরি যেসব ট্যাক্স আছে সেগুলো কমিয়ে আনা হোক।


বিজিএমইএ’র সাবেক প্রথম সভাপতি নাসির উদ্দিন চৌধুরী বলেন, অডিটকে কত সহজভাবে করা যায়; সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। এছাড়া চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে এ আলোচনা যাতে আমলে নেওয়া হয়। বিগত বছরগুলোতে আলোচনা হলেও তার প্রতিফলন বাজেটে দেখা যায়নি।


সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ পান রপ্তানিকারক সমিতির সভাপতি একরামুল করিম, চট্টগ্রাম চেম্বারের সাবেক সহ-সভাপতি এরশাদ উল্লাহ, বেলাল আহমেদ, সাবেক পরিচালক আমজাদ চৌধুরী, রাঙামাটি চেম্বারের সভাপতি মামুনুর রশীদ, কক্সবাজার চেম্বারের সভাপতি আবু মোরশেদ চৌধুরীসহ বিভিন্ন শিল্পগ্রুপের প্রতিনিধিবৃন্দ। 


সবার বক্তব্য শেষে এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান বলেন, অনেকগুলো বিষয়ের সঙ্গে আমরা সরাসরি জড়িত না। আমরা বুঝতে পেরেছি বন্ডে সমস্যা আছে। তাই আমরা বন্ড পুরোপুরি স্বয়ংক্রিয় করতে চাচ্ছি। কিন্তু অনেকে অসুবিধার কথা বলে এতে সমর্থন করছে না। সার্টিফিকেট, লাইসেন্স, পারমিট এসব অনলাইনে করার প্রক্রিয়া চলছে। ভ্যাটের অডিট ও ভ্যাটের রিটার্ন সহজ করার জন্য কাজ চলছে।


তিনি বলেন, ট্যাক্স বাড়াতে না পারলে দেশের উন্নয়নে অংশীদার হওয়া যাবে না। আপনারা যৌক্তিক দাবি দিয়েছেন। বিষয়গুলো অবশ্যই বিবেচনা করা হবে। বাজেট প্রণয়নে এ সুপারিশ দেওয়া হবে। তবে আমরা এখন রাজস্ব আহরণের বিষয়ে জোর দিচ্ছি। এরমধ্যে কর ফাঁকির বিষয়টি আমাদের প্রধান প্রায়োরিটি।



নিউজটি পোস্ট করেছেনঃ এলএসবিডি/হেনা

কমেন্ট বক্স
বাংলাদেশ | জাতীয়
দৈনিক লাল সবুজ বাংলাদেশ

নিজস্ব সংবাদদাতা | দৈনিক লাল সবুজ বাংলাদেশ
চট্টগ্রাম
শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫, ১১.৩৭ পূর্বাহ্ন
আপডেট : শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫, ১১.৩৭ পূর্বাহ্ন