ঢাকা
খ্রিস্টাব্দ

চৈত্র সংক্রান্তির ছুটি ঘোষণা করায় সরকারের প্রতি পার্বত্য উপদেষ্টার অভিনন্দন

দৈনিক লাল সবুজ বাংলাদেশ

স্টাফ রিপোর্টার | দৈনিক লাল সবুজ বাংলাদেশ
ঢাকা
বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫, ১২.১২ পূর্বাহ্ন

আপডেট : বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫, ১২.১২ পূর্বাহ্ন


নিউজটি দেখেছেনঃ 899100 জন

  • নিউজটি দেখেছেনঃ 899100 জন
চৈত্র সংক্রান্তির ছুটি ঘোষণা করায় সরকারের প্রতি পার্বত্য উপদেষ্টার অভিনন্দন
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা। ফাইল ছবি

চৈত্র সংক্রান্তি উপলক্ষে পার্বত্য অঞ্চলে ছুটি ঘোষণা করায় সরকারকে পার্বত্যবাসীর পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানিয়েছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা। তিনি গতকাল রাজধানীর বেইলি রোডে বিসিএস ফরেন সার্ভিস একাডেমি অডিটোরিয়ামে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের প্রেস উইংয়ে নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিনন্দন জানান।


পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। এ সময় উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেন,  চৈত্র সংক্রান্তিতে এপ্রিল মাসের ১৩ তারিখ আমরা পাহাড়িরা ছুটি পেয়েছি। চৈত্র সংক্রান্তিতে উৎসব উদযাপনের জন্য পার্বত্য অঞ্চলের মানুষের জন্য ছুটি ঘোষণা করায়, বর্তমান সরকারকে পার্বত্যবাসীর পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। তিনি বলেন, বিজু উৎসব চাকমা সম্প্রদায়ের অন্যতম প্রধান আনন্দ-উৎসব।


পার্বত্য এলাকার রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানের সর্বত্র বিজু মেলা চলছে। গিলা খেলা, বলি খেলা ও বিভিন্ন ধরনের আনন্দদায়ক খেলা চলছে সেখানে। পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বিজু উপলক্ষে বিভিন্ন প্রকার সাহায্য-সহযোগিতা দেওয়ার কথা জানান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, আমরা তিন জেলায় ৬০০ মেট্রিক টন চাল খাদ্যশষ্য, ৪৫০ মে. টন গম খাদ্য ইতোমধ্যে দিয়েছি। উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বিজু উৎসব সম্পর্কে বলেন, বাংলা বছরের শেষ দুই দিন ও নববর্ষের দিন এই উৎসব পালন করা হয়। এইদিন ভোরের আলো ফোটার আগেই ছেলে-মেয়েরা ফুল সংগ্রহের জন্য বেরিয়ে পড়ে । সংগ্রহ করা ফুলের এক ভাগ দিয়ে বুদ্ধকে পূজা করা হয় আর অন্যভাগ জলে ভাসিয়ে দেওয়া হয়। বাকি ফুলগুলো দিয়ে ঘরবাড়ি সাজানো হয়। 


তিনি বলেন, চৈত্র মাসের শেষ দিন, অর্থাৎ ১৩ এপ্রিল পালন করা হয় মূল বিজু। রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানের পাহাড়ে বসবাসকারী জনপদগুলো এই দিনে ভিন্ন এক আনন্দে মেতে ওঠে । নিজস্ব সংস্কৃতির অনুষ্ঠান মূল বিজু সকলের মনকে আনন্দে রাঙ্গিয়ে দেবে এবারের এ আসর। সুপ্রদীপ চাকমা আরও বলেন, পাহাড়ি-বাঙালি আমরা সবাই ভাই-ভাই হিসেবে কাজ করতে চাই। বৈষম্য-বিরোধী আন্দোলন আমাদের এক করে দিয়েছে।


উপদেষ্টা বলেন, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় ও পার্বত্য মন্ত্রণালয় যৌথভাবে ঢাকা ও পার্বত্য চট্টগ্রামে অনুষ্ঠান পরিচালনা করছে। সংবাদ সম্মেলনে সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ও প্রধান উপদেষ্টা কার্যালয়ের সহকারী প্রেস সেক্রেটারি সুচিস্মিতা তিথি উপস্থিত ছিলেন। 



নিউজটি পোস্ট করেছেনঃ এলএসবিডি/হেনা

কমেন্ট বক্স
বাংলাদেশ | জাতীয়
দৈনিক লাল সবুজ বাংলাদেশ

স্টাফ রিপোর্টার | দৈনিক লাল সবুজ বাংলাদেশ
ঢাকা
বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫, ১২.১২ পূর্বাহ্ন
আপডেট : বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫, ১২.১২ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদ