চীনা রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র চীনের সঙ্গে শুল্কসংক্রান্ত আলোচনায় বসতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। ট্রাম্প প্রশাসনের কঠোর শুল্ক নীতির কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে অস্থিরতা এবং বৈশ্বিক সরবরাহ ব্যবস্থায় ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়েছে। এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য যুক্তরাষ্ট্র আলোচনার মাধ্যমে সমাধান চাচ্ছে বলে জানা গেছে।
বেইজিং থেকে শুক্রবার (২ মে) চীনের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার সংস্থা সিসিটিভির সহযোগী প্রতিষ্ঠান ‘ইউয়ুয়ান তানতিয়ান’ এক প্রতিবেদনে জানায়, যুক্তরাষ্ট্র এখন "বহুমুখী চ্যানেলের মাধ্যমে সক্রিয়ভাবে" চীনের সঙ্গে আলোচনার পথ খুঁজছে। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ‘আলোচনার প্রসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রই এখন বেশি উদ্বিগ্ন। ট্রাম্প প্রশাসন বহুমুখী চাপের মুখে রয়েছে।’
চীনের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নতুন করে আরোপিত ১৪৫ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক এপ্রিলে কার্যকর হয়েছে, যার জবাবে বেইজিংও বেশ কিছু মার্কিন পণ্যের ওপর ১২৫ শতাংশ পর্যন্ত পাল্টা শুল্ক আরোপ করেছে।
যদিও প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বারবার দাবি করেছেন, চীন আলোচনার জন্য তার কাছে পৌঁছেছে—তবে বেইজিং তা জোরালোভাবে অস্বীকার করে আসছে। তবে এবার চীনের সরকারি ঘরানার সংবাদ মাধ্যমেই উঠে এসেছে, যুক্তরাষ্ট্র নিজের উদ্যোগেই আলোচনায় বসতে আগ্রহ দেখাচ্ছে।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বহুবার যুক্তরাষ্ট্রকে 'ন্যায়সঙ্গত, সম্মানজনক ও পারস্পরিক সুবিধাজনক' আলোচনার আহ্বান জানালেও, সম্প্রতি এক ভিডিও বার্তায় তারা হুঁশিয়ার করে দিয়েছে, “লড়াই দরকার হলে শেষ পর্যন্ত লড়বে, কখনো নতি স্বীকার করব না।”
চলমান বাণিজ্যযুদ্ধ এবং বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার প্রেক্ষাপটে এই খবর এমন এক সময় প্রকাশিত হলো, যখন মার্কিন অর্থনীতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে সংকোচনের মুখে পড়েছে এবং উভয় দেশেই উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে।