বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বুধবার রাতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করার একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। এই সিদ্ধান্তের পেছনে সরকারের যুক্তি হলো, ছাত্রলীগ বিভিন্ন সময়ে হত্যাকাণ্ড, নির্যাতন এবং জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ১৫ বছরে ছাত্রলীগের সদস্যরা বিভিন্ন ধরনের অপরাধে লিপ্ত হয়েছে, যা দেশের গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য দ্বারা প্রমাণিত। এছাড়া, ২০২৪ সালের ১৫ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আন্দোলনরত ছাত্রদের ওপর সহিংস হামলা চালিয়েছিল, যার ফলে বহু নিরপরাধ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
সরকারের মতে, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরও ছাত্রলীগ রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল। এই কারণে সরকার “সন্ত্রাস বিরোধী আইন, ২০০৯”-এর আওতায় ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করেছে।
এতে উল্লেখ করা হয়, জাতীয় নাগরিক কমিটি এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করার জন্য সরকারের কাছে সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছিল এবং সরকারের এই পদক্ষেপ সেই সময়সীমার মধ্যে নেওয়া হলো।