সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তা নিয়ে মন্তব্য করেছেন কমিটির আহ্বায়ক আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী। গত বুধবার চাকরিতে প্রবেশের বয়স বৃদ্ধি নিয়ে আন্দোলনকারী গ্রুপের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে অনেকদিন ধরেই আন্দোলন চলছে, এবং আমরা এই সমস্যার সমাধানে যুক্তিসঙ্গত প্রতিবেদন তৈরি করতে কাজ করছি।’
মুয়ীদ চৌধুরী আরও বলেন, ‘আমরা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। বর্তমান নীতিমালা এবং ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করে আমরা সিদ্ধান্ত নেব। বয়স বৃদ্ধি নিয়ে যুক্তিসঙ্গত দাবি রয়েছে, এতে কোনো সন্দেহ নেই।’
তিনি যুক্তি তুলে ধরেন যে, ‘কোভিড এবং সেশনজটের কারণে অনেকের চাকরিতে প্রবেশে সমস্যা হয়েছে। তাই বয়সসীমা বাড়ানো উচিত। তবে কতটা বাড়ানো হবে, তা এখনই বলা সম্ভব নয়।’
চাকরিপ্রার্থী ও শিক্ষার্থীরা সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ বছর নির্ধারণের দাবি জানিয়ে আসছে। গত সোমবার তারা প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেন, এবং একই দিনে বয়সসীমা বৃদ্ধির বিষয়টি পর্যালোচনা করার জন্য একটি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। মুয়ীদ চৌধুরীকে আহ্বায়ক এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. মোখলেস উর রহমানকে সদস্য সচিব হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন সাবেক যুগ্মসচিব কওছার জহুরা, সাবেক অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ ইকবাল এবং অর্থ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।