রংপুর আঞ্চলিক ব্যাপ্টিস্ট চার্চ ও রংপুর সদর ব্যাপ্টিস্ট চার্চের যৌথ উদ্যোগে বড়দিন উদযাপন ও প্রীতিভোজ এক হৃদয়স্পর্শী ও আনন্দঘন পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকালে ৮টায় শুরু হওয়া এই আয়োজন চলে দুপুর ১২টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত। এই মহতী অনুষ্ঠানটি ছিল প্রার্থনা, সংগীত, বক্তব্য এবং প্রীতিভোজের মাধ্যমে সাজানো।
অনুষ্ঠানের অন্যতম আকর্ষণ ছিল বড়দিনের কেক কাটা। এটি কেবল উৎসবের এক বিশেষ মুহূর্ত ছিল না, বরং এই কেক কাটার মাধ্যমে অনুষ্ঠানটির সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়। কেক কাটার সময় উপস্থিত সবার মুখে ছিল আনন্দের ঝলক এবং হৃদয়ে ছিল উচ্ছ্বাস।
এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফাদার সখরীয় বৈরাগী। তার সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ হুমায়ুন কাইয়ুম, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হোসেন, পুলিশ কমিশনার (ডিআইজি) মোঃ মজিদ আলী (বিপিএম), মেজর মোঃ রেফায়েত হোসেন এবং উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) মোহাম্মদ শিবলী কায়সার। এছাড়াও, বিভিন্ন স্তরের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এ উৎসবে অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে অতিথিরা তাদের বক্তব্যে বড়দিনের ঐতিহাসিক ও ধর্মীয় তাৎপর্য নিয়ে আলোচনা করেন। তারা বলেন, বড়দিন একদিকে যিশু খ্রিস্টের জন্মবার্ষিকী উদযাপন, অন্যদিকে এটি বিশ্বব্যাপী মানবিকতা, ভালোবাসা এবং ভ্রাতৃত্বের বার্তা বহন করে। তারা আরো উল্লেখ করেন, এ ধরনের আয়োজন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
এ আয়োজনের অন্যতম আকর্ষণ ছিল প্রীতিভোজ। বিভিন্ন ধরনের সুস্বাদু খাবারের আয়োজনে এটি ছিল এক বিশেষ অভিজ্ঞতা। অতিথিরা প্রীতিভোজে অংশ নিয়ে একে অপরের সঙ্গে আন্তরিকভাবে মতবিনিময় করেন, যা পারস্পরিক ভ্রাতৃত্ববোধকে আরও সুদৃঢ় করে।
সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালিত এ অনুষ্ঠানটি ছিল আনন্দমুখর ও স্মরণীয়। অতিথি এবং অংশগ্রহণকারীদের আন্তরিক অংশগ্রহণে এটি একটি সফল আয়োজন হিসেবে প্রশংসিত হয়েছে। রংপুরের এই বড়দিন উদযাপন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি এবং ভালোবাসার এক উজ্জ্বল উদাহরণ হয়ে থাকবে।