ঢাকা
খ্রিস্টাব্দ

ইভিএম'র প্রশ্নই আসেনা

আমরা সততা এবং নিষ্ঠার সাথে কাজ করছি : নির্বাচন সংস্কার কমিশনের প্রধান

জন-আকাঙ্খা এবং আমাদের আকাঙ্খাও একই।
দৈনিক লাল সবুজ বাংলাদেশ

ব্যুরো প্রধান | লাল সবুজ বাংলাদেশ
চট্টগ্রাম
রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭.১১ অপরাহ্ন

আপডেট : রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭.১৩ অপরাহ্ন


নিউজটি দেখেছেনঃ 1217534 জন

  • নিউজটি দেখেছেনঃ 1217534 জন
আমরা সততা এবং নিষ্ঠার সাথে কাজ করছি : নির্বাচন সংস্কার কমিশনের প্রধান
ছবি- চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের বিষয়ে মতবিনিময় সভা।

সততা এবং নিষ্ঠার সাথে কাজ করার কথা জানালেন নির্বাচন সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার। আজ রোববার দুপুরে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের বিষয়ে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।


নির্বাচনকে নির্বাসনে পাঠাতে চান না উল্লেখ করে বদিউল বলেন, প্রশাসনের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তারা আজকে কথা বলেছেন। ওনারাও ব্যবহৃত হতে চান না। তারাও সুষ্ঠু নির্বাচন চান। সেভাবেই তারা দায়িত্ব পালন করবেন। নির্বাচনে ইভিএম মেশিন ব্যবহারের নির্বাচন সংস্কার কমিশন প্রধান বলেন, ইভিএম এর আর প্রশ্নই আসে না। ওটা হবে না। নির্বাচন কমিশনও বলেছে, আমরাও একই মত দিয়েছি।


এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সংস্কার কমিশনের সদস্য স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক তোফায়েল আহমেদ, নির্বাচন কমিশনের সাবেক অতিরিক্ত সচিব জেসমিন টুলি, নির্বাচন বিশেষজ্ঞ ডা. মো. আবদুল আলীম ও চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম প্রমুখ।


হলফনামায় তথ্য গোপন প্রসঙ্গে বদিউল আলম মজুমদার আরো বলেন, প্রার্থীদের হলফনামায় অনেকরকম ভুয়া তথ্য থাকে, গোপনও করা হয়। আমরা এ বিষয়ে প্রস্তাব দেওয়ারও পরিকল্পনা করছি। আমাদের প্রস্তাবনা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। তিনি আরো বলেন, আমরা সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রের প্রতিনিধিরা এখানে একত্রিত হয়েছেন। তাদের সুপারিশ, প্রস্তাব এবং অভিজ্ঞতা শুনেছি। আমরা নির্বাচন কমিশন, সংসদ নির্বাচন, রাষ্ট্রপতি নির্বাচন, ভোটার তালিকা, রাজনৈতিক দলের গণতন্ত্রের বিষয়ে, নির্বাচনীয় অপরাধ, নারীর ক্ষমতায়ন সম্পর্কে আলোচনা হয়েছে। সবার উপরে নাগরিক। তাই আপনাদের মতামতও আপনারা দিতে পারেন।


বদিউল আলম মজুমদার বলেন, মানুষের মধ্যে যে আগ্রহ-উচ্ছ্বাস... মানুষ আমাদের যেখানে দেখে দুটো কথা বলতে চায়। তাদের মনে আকুতি ব্যক্ত করতে চায়। তাদের সবারই আকুতি একটা সুষ্ঠ নিরপেক্ষ নির্বাচন হোক। যার মাধ্যমে গণতন্ত্র একটা শক্ত ভীতের ওপর দাঁড়াবে। এটা জন-আকাঙ্খা এবং আমাদের আকাঙ্খাও একই। আমরা সততা এবং নিষ্ঠার সাথে কাজ করছি। মানুষের কাছ থেকে যা শুনেছি এবং আমাদের জ্ঞানবুদ্ধি, অভিজ্ঞতা ব্যবহার করে কিছু প্রস্তাব দেব। কিন্তু বাস্তবায়ন আমাদের দায়িত্ব নয়। আমরা আশা করছি রাজনৈতিক দল, সরকার এবং নির্বাচন কমিশন এগুলো বাস্তবায়ন করবে।


সব দলের নির্বাচনে অংশগ্রহণ এবং নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতার বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের কাজ হলো নির্বাচনী ব্যবস্থা সংস্কারের বিষয়ে প্রস্তাব দেওয়া। কারা নির্বাচনে আসবে বা আসবে না, কারা যোগ্য কিংবা যোগ্য নন সেই সিদ্ধান্ত নির্বাচন কমিশনের। আমাদের এখতিয়ারের বাইরে। সেটা নির্বাচন কমিশনকেই জিজ্ঞেস করবেন।


তিনি বলেন, আমরা আশা করছি যে সময়সীমা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে অর্থাৎ ৩১ তারিখের আগেই আমরা আমাদের প্রস্তাবটা দেব। আমাদের প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, নির্বাচনী ট্রেনটা যেন ট্র্যাকে উঠে। এজন্য প্রথম কাজ যেটা দরকার ছিল নির্বাচন কমিশন গঠন করা। ওনারা তাই করেছেন। আমাদের কাজের সাথে তাদের কোনোরকম সাংঘর্ষিক অবস্থান তৈরি করছে না। যাদেরকে নিয়ে অনুসন্ধান কমিটি গঠিত হয়েছে তারা অত্যন্ত সম্মানিত এবং দলনিরপেক্ষ ব্যক্তি। আমরা বিশ্বাস করতে চাই তারা সঠিক ব্যক্তি এবং তারা আমাদের একটি সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে পারবে।


নিউজটি পোস্ট করেছেনঃ এলএসবিডি/এনকেডি

কমেন্ট বক্স
বাংলাদেশ | জাতীয়
দৈনিক লাল সবুজ বাংলাদেশ

ব্যুরো প্রধান | লাল সবুজ বাংলাদেশ
চট্টগ্রাম
রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭.১১ অপরাহ্ন
আপডেট : রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭.১৩ অপরাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদ