খাগড়াছড়ির দিঘীনালায় সহিংসতার ঘটনায় সংঘর্ষের জেরে উত্তপ্ত রাঙামাটি শহরও। সেখানে উভয়পক্ষের পাল্টাপাল্টি সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতে ১৪৪ ধারা জারি করেছে স্থানীয় প্রশাসন। এঘটনায় এখন পর্যন্ত তিনজন নিহত এবং পঞ্চাশজন আহত হয়েছে বলে জানা যায়।
জানা গেছে, সহিংসতা ও নাশকতা রোধে খাগড়াছড়ি পৌর শহর ও জেলা সদরেও ১৪৪ ধারা জারি করেছে জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, যে কোনো ধরনের সহিংসতা রোধে এ ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে প্রশাসন।
খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সুজন চন্দ্র রায় স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তি বলে হয়, উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় ও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি মোকাবেলায় ফৌজদারি কার্যবিধির ১৮৯৮ সালের ১৪৪ ধারা মতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলো। শুক্রবার দুপুর ২টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা কার্যকর থাকবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
অপরদিকে, দিঘীনালায় সংঘর্ষের জেরে উত্তপ্ত হয়েছে রাঙামাটি শহরও। সেখানে উভয়পক্ষের পাল্টাপাল্টি সংঘর্ষ হয়েছে। ভাঙচুর করা হয়েছে দোকানপাট। আহত হয়েছেন অন্তত ২০ জন। উত্তেজনা বিরাজ করায় শহরে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পৌর এলাকায়ও ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।
জানা গেছে, বুধবার মোহাম্মদ মামুন (৩০) নামের এক ব্যক্তিকে মোটরসাইকেল চুরির অভিযোগে মারধর করার ঘটনার জের ধরে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। আহত মামুন বুধবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তিনি খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার বাসিন্দা। এনিয়ে বৃহস্পতিবার বিকেল দীঘিনালায় পাহাড়িদের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও বাড়িঘরে আগুন দেওয়া হয়। তবে সেখানে কিছু বাঙালির দোকানও পুড়ে যায়।