চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে শিক্ষিকার বেতের আঘাতে মোহাম্মদ আয়াতুল ইসলাম (৭) নামের এক শিশুর বাম চোখ নষ্ট হয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার জোটপুকুরপাড় এলাকার বাগে সিরিকোট তাহফিজুল কোরআন আইডিয়াল মাদ্রাসা শিক্ষিকা শাহীন আকতারের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠে।
আয়াত উপজেলার পোপাদিয়া ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মো. সাজ্জাদ হোসেনের ছেলে। পরিবারের দাবী, ২৬ মে মাদরাসার শিক্ষিকা শাহীন আকতারের বেতের আঘাতে আয়াতের চোখ নষ্ট করে হয়েছে। এসময় আয়াত বলে, ‘হেফজ খানার শিক্ষিকা অন্য ছেলেকে মারতে গিয়ে বেত আমার চোখে লাগে। এরপর থেকে চোখে ব্যথা হতে শুরু করে।’
এ বিষয়ে শিক্ষিকা শাহীন আকতার বলেন, ‘আয়াত অসুস্থ হয়েছে সেটা আমি নিজেও জানতাম না। তাকে ঘিরে আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে সেটা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। এ ঘটনার সাথে আমার কোন সম্পর্ক নেই ।’
মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মোহাম্মদ মহিউদ্দীন মাহমুদ বলেন, ‘চোখে গরম উঠার কারণে ২৭ মে আয়াত পড়তে বসতে পারে নাই। সকাল থেকে শুয়ে ছিল। বিকেলে তার মা এসে দেখে তার চোখ লাল হয়ে আছে।
বিষয়টি আমাকে জানালে আমি চিকিৎসা করানোর প্রতিশ্রুতি দিই। ২৮ মে সকালে তার চোখের অবনতি দেখে বাড়িতে পাঠালে তাকে ডাক্তার দেখান তার মা। ডাক্তার তার চোখের অপারেশন করাতে হবে বলে জানান। অপারেশনের জন্য প্রথম ধাপে আমি ১৫ হাজার ও দ্বিতীয় ধাপে ১৯ হাজার টাকা দিয়েছি। তাতেও তার চোখের কোনো উন্নতি না হওয়ায় তার মা আমার খরচে তাকে ভারতে নিয়ে যেতে বলেন।
আমি অপারগতা প্রকাশ করলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে যান।’
এদিকে বুধবার সকালে আয়াতকে দেখার জন্য তার ঘরে যান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরান হোসাইন সজীব। তার সঙ্গে বিস্তারিত কথা বলেন তিনি। সে সময় আয়াত বলে, অন্য ছেলেকে মারতে গিয়ে বেত তার চোখে লাগে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরান হোসাইন সজীব বলেন, ঘটনাটি তদন্ত করার জন্য উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) নুসরাত ফাতেমাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন হাতে আসলে বুঝা যাবে কি ঘটেছিল আয়াতের সাথে। তবে তার চিকিৎসার জন্য পরিবারের হাতে ১৫ হাজার টাকার একটি চেক তুলে দেয়া হয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য জেলা প্রশাসক সহযোহিতা করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।