ঢাকা
খ্রিস্টাব্দ

ঈদের ছুটিতে ঢাকা প্রায় ফাঁকা

দৈনিক লাল সবুজ বাংলাদেশ


আপডেট : বুধবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ১১.১১ পূর্বাহ্ন


নিউজটি দেখেছেনঃ 1858210 জন

  • নিউজটি দেখেছেনঃ 1858210 জন
ঈদের ছুটিতে ঢাকা প্রায় ফাঁকা
ছবি : সংগৃহীত

দেশে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপন হবে ১৭ জুন। এরই মধ্যে গ্রামে আপনজনদের সঙ্গে ঈদ কাটাতে রাজধানী ছাড়ছে মানুষ। এবার ঈদের ছুটি শুরুর আগে শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় অনেকে আগেই গ্রামে চলে গেছেন। যারা অফিসের কাজ বা কোনো কারণে যেতে পারেননি, তাদের অধিকাংশই ঢাকা ছাড়ছেন আজ।


এদিকে, যাত্রী কমে যাওয়ায় ঢাকার বিভিন্ন রুটে চলাচল করা বাসগুলোও দূরের পথের যাত্রী নিয়ে রাজধানীর বাইরের বিভিন্ন রুটে ছুটছে। এতে ঢাকার ভেতরে গণপরিবহন চলাচল একেবারে কমে গেছে। ফলে যানজটের নগরী ঢাকা প্রায় ফাঁকা হয়ে পড়েছে।


শনিবার (১৫ জুন) দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত রামপুরা, বাড্ডা, কুড়িল, মহাখালী, বিজয়সরণি আগারগাঁও, সায়েন্সল্যাব, শ্যামলী, মতিঝিল, কাকরাইলসহ রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র।


দুপুর থেকেই এসব এলাকায় মূল সড়কগুলো ফাঁকা ছিল। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গাড়ি কিছুটা বাড়লেও তেমন যানজট হয়নি। শুধুমাত্র সিগন্যালগুলোতে এক সড়ক থেকে অন্য সড়কে গাড়ি যাওয়ার জন্য অল্প সময়ের জন্য আটকে থাকতে হয়। তবে বাণিজ্যিক ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকেন্দ্রিক এলাকাগুলোতে মানুষের উপস্থিতি বেশি হওয়ায় কিছুটা ধীরে গাড়ি চলছে।


শনিবার দুপুরে এয়ারপোর্ট থেকে রামপুরা রুটে বিভিন্ন জায়গায় গণপরিবহন সংকটে যাত্রীদের দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। মাঝে মধ্যে দুই-একটা বাসের দেখা মিললেও তাতে ছির উপচেপড়া ভিড়।


শাহজাদপুর বাঁশতলা থেকে এয়ারপোর্ট রেলওয়ে স্টেশনে যাবেন সিদ্দিকুর রহমান। অনেক সময় অপেক্ষা করেও বাস পাননি তিনি। অবশেষে ভিক্টর ক্লাসিক পরিবহনে ওঠেন তিনি। বাসে বসে তিনি  বলেন, আজকে রাস্তায় গাড়ি নেই। বাস একটা-দুটা এলেও গাদাগাদি অবস্থা। ওঠার জায়গা নেই।


নতুনবাজার থেকে সাভার রুটে চলাচল করা বৈশাখী পরিবহনের চালক ইমারুল ইসলাম বলেন, শহরের মধ্যে যাত্রীর তেমন চাপ নেই। কাছাকাছি স্টপেজে মানুষ ওঠানামা করছে। অধিকাংশই ১০-২০ টাকা ভাড়ার যাত্রী। আর রাস্তাও ফাঁকা।


তিনি বলেন, গাড়ি এখন ঢাকার মধ্যে কম। সবাই এখন আরিচা ঘাট পর্যন্ত যাত্রী টানছে। কেউ কেউ পদ্মার ওপার পর্যন্তও যাত্রী আনা-নেওয়া করছে।


সায়েন্সল্যাবে যাত্রীর জন্য অপেক্ষায় থাকা সাভার পরিবহনের চালক আজিজুল বলেন, সদরঘাট যাওয়ার সময় গুলিস্তান এবং বাবুবাজার এলাকায় কিছুটা যানজট পেয়েছি। এছাড়া বাকি রাস্তা ফাঁকাই ছিল। আসার সময়ও গুলিস্তানে কিছুটা যানজট ছিল। এছাড়া পুরো রাস্তা এখন ফাঁকা।


এদিকে, রাস্তা ফাঁকা থাকায় স্বস্তিতে দায়িত্ব পালন করছেন ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা। নতুনবাজার থেকে গুলশানে প্রবেশমুখে দায়িত্ব পালন করা ট্রাফিক পুলিশ সার্জেন্ট আসাদুজ্জামান রবিন বলেন, আজকে গাড়ির চাপ নেই। সকাল থেকেই প্রাইভেটকার বা ব্যক্তিগত গাড়ির পরিমাণ অনেক কম। সড়ক অনেকটা ফাঁকা। তারপরও মানুষের যাতায়াতের সুবিধার্থে যেসব ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন, তা করছি আমরা।


নিউজটি পোস্ট করেছেনঃ এলএসবিডি/হেনা

কমেন্ট বক্স
দৈনিক লাল সবুজ বাংলাদেশ



আপডেট : বুধবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ১১.১১ পূর্বাহ্ন