১৯৭২ সালের পর এত তাপ দেখেনি দেশবাসী। বাইরে বের হলে চোখ-মুখ যেন পুড়ে যাচ্ছে। এরইমধ্যে অনেক জায়গার মাটি ফেটে চৌচির হয়ে গেছে। গতকাল দেশের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৩.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক আজিজুর রহমান জানিয়েছেন, এবারের এপ্রিল মাসটি ছিল দেশের ইতিহাসে অন্যতম উষ্ণ মাস। এপ্রিলের এ সময়ে বাংলাদেশের গড় তাপমাত্রা থাকে ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কিন্তু মাসজুড়েই সারাদেশে তাপমাত্রা ছিল ৩৭ ডিগ্রির ওপরে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, মঙ্গলবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে যশোরে ৪৩.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা বাংলাদেশের ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। এদিন চুয়াডাঙ্গায় ছিল ৪৩.৭ ডিগ্রি সেলিসিয়াস। আর ঢাকায় তাপমাত্রা উঠেছিল ৩৮.৬ ডিগ্রিতে।
এ ছাড়া এদিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রার মধ্যে ঈশ্বরদীতে ৪৩.২, রাজশাহীতে ৪৩.০, কুমারখালীতে ৪২.৫, মোংলায় ৪২.৩, সাতক্ষীরায় ৪২.২, খুলনায় ৪১.৫, টাঙ্গাইল, বগুড়া, দিনাজপুর ও তাড়াশে ৪১.০, গোপালগঞ্জে ৪০.৭, বদলগাছীতে ৪০.৫, ফরিদপুরে ৪০.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
এর আগে ২০১৪ সালের ২১ মে চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা উঠেছিল ৪৩.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা এতদিন দেশের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল। মঙ্গলবার তা ভেঙে গেল। আর স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালের ১৮ মে রাজশাহীতে ৪৫.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল, যা বাংলাদেশের নথিভুক্ত ইতিহাসের সর্বোচ্চ।