মাদারীপুরের ডাসার উপজেলা ঘোষণার ৪ বছর পেরিয়ে গেলেও নির্মিত হয়নি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স । অন্য উপজেলায় গিয়ে চিকিৎসা নিতে বাড়ছে ব্যয় ও ভোগান্তি। ফলে কাঙ্খিত স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে উপজেলা বাশী।
এরই মধ্যে স্বাস্থ্য কমপ্লেস নির্মাণের লক্ষ্যে নির্ধারিত জায়গায় যৌথ তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন বলছে, জমি অধিগ্রহণের পর শুরু হবে পরবর্তী প্রক্রিয়া। জানা যায় ২০২১ সালের ২৬ শে জুলাই সচিবালয়ে নিকার সভায় মাদারীপুরের ডাসার উপজেলা ঘোষণা করা হয়। এরপর ২০২২ সালের ১৪ ই আগস্ট নিয়োগ দেওয়া হয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। উপজেলা ঘোষণার চার বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো এখানে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নির্মাণ সম্ভব হয়নি। এতে চরম স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছেন এলাকাবাসী । নিজ উপজেলায় স্বাস্থ্যসেবা না পেয়ে ডাসার উপজেলার নবগ্রামের বাসিন্দা রকিবুজ্জামান বলেন, ডাসার উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স না থাকায় আমার অসুস্থ বাবাকে নিয়ে কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়েছে। এখানে আসতে যাতায়াতে অনেক ভোগান্তির পোহাতে হয়েছে। তেমনি পড়তে হয়েছে বিলম্বনার। বাড়ির কাছে যেমন স্বাস্থ্য সেবা পাওয়ার কথা সেখানে অন্য উপজেলায় গিয়ে এই সেবা নিতে হচ্ছে। এর চেয়ে কষ্ট আর কি হতে পারে।
একইভাবে ডাসারের নবগ্রামের বাসিন্দা কাজল তার স্ত্রী সাথী আক্তারকে নিয়ে ১২ কিলোমিটার সড়ক পেরিয়ে কালকিনিতে চিকিৎসা করাতে এসেছেন। তিনি জানান আমার অসুস্থ স্ত্রীকে কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে আসতে অনেক কষ্ট হয়েছে। তাৎক্ষণিক যানবাহন পাইনি। শুধু রকিবুজ্জামান বা সুমন নয় তাদের মত আরও অনেক অসুস্থ রোগীদের হাসপাতালে পৌঁছাতে দেরি হওয়ায় ঘটছে প্রাণহানিও। ডাসার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ভারপ্রাপ্ত সাইফুল আরেফিন বলেন, ৫০ শয্যার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নির্মাণের কার্যক্রম চলমান রয়েছে । প্রাথমিক পর্যায়ে জমি অধিগ্রহণের জন্য যৌথ তদন্ত হয়েছে ।
জমি অধিগ্রহণ শেষে পরবর্তী ধাপ শুরু হবে । তবে কবে পুরোপুরি হাসপাতালে নির্মাণ বাস্তবায়ন হবে সেটি এই মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না। ২০২১ সালে কালকিনি উপজেলার ডাসার নবগ্রাম,কাজীবাকাই, গোপালপুর ও বালিগ্রাম ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত হয় ডাসার উপজেলা। এর আয়তন ৭৬.৮ বর্গকিলোমিটার। জনসংখ্যা ৭৫ হাজার ১৭৩ জন। হাসপাতালের জন্য জমি অধিগ্রহণের পর প্রকল্পের অনুমোদন, তারপর ভবন নির্মাণ, এবং শেষে জনবল নিয়োগ।
এতগুলো ধাপ পেরিয়ে ডাসারের মানুষ কবে নাগাদ স্বাস্থ্যসেবা পাবে সেটি এখন এলাকাবাসীর প্রশ্ন।