স্বাধীনতা পুরস্কার পেতে যাচ্ছেন মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি এম এ জি ওসমানী বলে আলোচনা ছিল। কিন্তু চূড়ান্ত তালিকায় দেখা গেল তার নাম নেই। এর পরই নানা সমালোচনা শুরু হয়। এ নিয়ে মঙ্গলবার (১১ মার্চ) রাতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিবৃতি দিয়েছে।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশ মুক্তিবাহিনীর প্রধান সেনাপতি জেনারেল এম এ জি ওসমানী ১৯৮৫ সালে স্বাধীনতা পদকে ভূষিত হন। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এ বছর তাকে মরণোত্তর স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়। এ বিষয়ে জারি করা প্রজ্ঞাপনেও দেখা গেছে তার নাম। কিন্তু যেহেতু কোনো বাংলাদেশির দেশের সর্বোচ্চ পুরস্কার একাধিকবার পাওয়ার নজির নেই, তাই এ ধারণা বাদ দেওয়া হয়। ফলে এ বছর আর জেনারেল এম এ জি ওসমানীকে স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়া যাচ্ছে না।’
এর আগে এ বিষয়ে গণমাধ্যমকে মন্ত্রিপরিষদসচিব শেখ আব্দুর রশীদ বলেন, স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য এম এ জি ওসমানীর নাম আলোচনা হয়েছিল। কিন্তু তিনি ১৯৮৫ সালে স্বাধীনতা পুরস্কার পেয়েছিলেন। দ্বিতীয়বার কাউকে এই পুরস্কার দেওয়া হয় না। এ জন্য চূড়ান্ত তালিকায় তার নাম রাখা হয়নি।
জানা গেছে, ১৯৮৫ সালে একজন ব্যক্তিকে জাতীয় জীবনে তার অসাধারণ অবদানের জন্য স্বাধীনতা পুরস্কার সম্মাননায় ভূষিত করা হয়। তাকে প্রদান করা হয় মরণোত্তর সম্মাননা। সেই ব্যক্তি হলেন মহান মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জেনারেল মুহাম্মদ আতাউল গণি ওসমানী (অব.)।