ঢাকা
খ্রিস্টাব্দ

কোটি টাকা নিয়ে লাপাত্তা সমবায় সমিতির কর্মকর্তা

দৈনিক লাল সবুজ বাংলাদেশ

জালিস মাহমুদ | দৈনিক লাল সবুজ বাংলাদেশ
পিরোজপুর
শনিবার, ০১ মার্চ ২০২৫, ১০.২৫ অপরাহ্ন

আপডেট : শনিবার, ০১ মার্চ ২০২৫, ১০.২৫ অপরাহ্ন


নিউজটি দেখেছেনঃ 981551 জন

  • নিউজটি দেখেছেনঃ 981551 জন
কোটি টাকা নিয়ে লাপাত্তা সমবায় সমিতির কর্মকর্তা
ছবি : সংবাদদাতা প্রেরিত।

পিরোজপুরের নেছারাবাদ (স্বরূপকাঠি) উপজেলায় সদস্যদের জমা দেওয়া সঞ্চয়ের প্রায় এক কোটি টাকা নিয়ে উন্নয়ন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সম্পাদক লাপাত্তা হওয়ার অভিযোগ উঠেছে।


জানা যায়, উন্নয়ন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি নামে ২০১৬ সালের ২৭ নভেম্বর সমবায় অফিস থেকে একটি লাইসেন্স পায়। যার রেজিস্ট্রেশন নং- ৫২ (বায়ান্ন) পিডি। পাঁচ বছরে দ্বিগুণ মুনাফা দিয়ে আসছিল প্রতিষ্ঠানটি। প্রথম পর্যায়ে গ্রাহকদের সাথে ভালো লেনদেন করলেও ২০২৩ ইং সালের শেষের দিক থেকে প্রতিষ্ঠানটির সম্পাদক হরিপদ মন্ডলের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ ওঠে।


স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,  প্রতিষ্ঠানটির ক্যাশিয়ার শিশির মন্ডল ভারতে চলে যান। এর কিছু দিন পরেই সমিতির সম্পাদক হরিপদ মন্ডল গ্রাহকদের অর্থে ক্রয়কৃত জমি বিক্রির টাকা নিয়ে আত্মগোপনে চলে যায়। পরবর্তীতে গ্রহদের চাপে ফিল্ড অফিসার হরষিত মন্ডলও আত্মগোপনে চলে যান। প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা লাপাত্তা থাকায় সদস্যরা তাদের সঞ্চয়কৃত টাকা উদ্ধার করতে পাগলের মতো ছুটে বেড়াচ্ছেন।


পলাতক ফিল্ড অফিসার হরষিৎ মন্ডল মুঠোফোনে বলেন, এলাকার অনেক মানুষ তার মাধ্যমে ওই সমিতিতে টাকা জমা রেখেছেন। টাকার পরিমাণ কোটি টাকার কাছাকাছি হবে। এছাড়াও তিনি ঋণ বিতরণ ও কিস্তি আদায় করতেন। গ্রাহকরা বড়ো অংকের টাকা অফিসে গিয়ে মালিক (সম্পাদক) হরিপদ মন্ডল ও ব্রাঞ্চ ম্যানেজার শুভ বিশ্বাসের কাছে জমা দিতেন। এখন গ্রাহক ও এলাকার লোকজন তাকে খুঁজে বেড়াচ্ছেন। হয়রানির ভয়ে তিনি এলাকা থেকে দূরে পালিয়ে রয়েছে। 


ভুক্তভোগী গ্রাহক ফরিদা বেগম বলেন, প্রায় তিন বছর আগে এই সমিতিতে ৭ লক্ষ টাকা জমা রেখেছিলাম। কিন্তু এখন মালিকপক্ষ ও কর্মচারীরা পালিয়ে যাওয়ায় অফিস বন্ধ থাকে। আমার স্বামী অসুস্থ ও আমার  তিনটি মেয়ে সন্তান আছে। তিনি আক্ষেপ করে বলেন এখন স্বামীর চিকিৎসাও চলে না এবং বাজারও করতে পারিনা।


ভুক্তভোগী নুর আমিন জানান, দ্বিগুণ পাওয়ার আশায় সঞ্চয় ও ডিপিএস করেছিলাম। এখানে আমার প্রায় ৬ লক্ষ টাকা জমা আছে। মালিকপক্ষ পালিয়ে যাবার পরে টাকা পাবার আশা ছেড়ে দিয়েছি। শুনেছি কিস্তি বাবদ গ্রহদের কাছে কিছু টাকা অফিসের মাধ্যমে ফিল্ডে দেয়া আছে। অফিস বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ওই টাকাও তারা উঠাতে পারছে না। যদি মালিকপক্ষ পূনরায় অফিস খুলে কিস্তি কালেকশন করে তাহলে কিছু টাকা ফেরত পেতাম। 


এসব অভিযোগের বিষয় জানতে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী উন্নয়ন সমবায় সমিতির সম্পাদক হরিপদ মন্ডল ও ক্যাশিয়ার শিশির মন্ডলের মোবাইল ফোনে কথা বলার চেষ্টা করলেও তাদের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।


এ বিষয়ে নেছারাবাদ উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসান রকি জানান, নেছারাবাদ উপজেলায় সমবায় সমিতির বিষয়টি নিয়ে আমি চিন্তিত। একাধিক সমবায় সমিতির মালিক-কর্মচারীরা পালিয়ে গেছে। আমি এখানে যোগদানের পূর্বে গণহারে সমবায় সমিতির লাইসেন্স দেয়া হয়েছিল। আমি এসে একশো দশটি লাইসেন্স বাতিল করেছি। যদি কেহ সমবায় সমিতির লাইসেন্স নিয়ে অপরাধ করে অবশ্যই কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


নিউজটি পোস্ট করেছেনঃ এলএসবিডি/হেনা

কমেন্ট বক্স
বাংলাদেশ | জাতীয়
দৈনিক লাল সবুজ বাংলাদেশ

জালিস মাহমুদ | দৈনিক লাল সবুজ বাংলাদেশ
পিরোজপুর
শনিবার, ০১ মার্চ ২০২৫, ১০.২৫ অপরাহ্ন
আপডেট : শনিবার, ০১ মার্চ ২০২৫, ১০.২৫ অপরাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদ