পিরোজপুর সদর উপজেলার কদমতলা ইউনিয়নের ভৈরামপুর গ্রামে নিজ বসতঘর থেকে রোকেয়া বেগম (৭০) নামে এক বৃদ্ধা নারীর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (২৫ জুলাই) সকাল ৯টা ৩০ মিনিটের দিকে প্রতিবেশীরা ঘরের ভিতরে রক্তাক্ত অবস্থায় তার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে থানায় খবর দেন।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বৃদ্ধা রোকেয়া বেগম একাই ওই ঘরে বসবাস করতেন। প্রতিদিন সকালে তার খোঁজ নেন প্রতিবেশীরা। আজকে সকাল ৯টার পর ডাকাডাকি করেও সাড়া না পেয়ে প্রতিবেশীরা তার ঘরের পাশ দিয়ে গিয়ে পেছনের দরজা খোলা দেখতে পান। পরে ঘরের ভিতরে ঢুকে তারা রক্তাক্ত অবস্থায় মরদেহ দেখতে পান। সম্ভবত ২৪ জুলাই রাতে কোন এক সময় তাকে গলা কেটে হত্যা করা হতে পারে বলে তাদের ধারণা।
রোকেয়া বেগম পিরোজপুর সদর উপজেলার কদমতলা ইউনিয়নের ভৈরামপুর গ্রামের মৃত মোক্তার হাওলাদারের স্ত্রী। এই দম্পতির দুই ছেলে লিটন হালদার, মহসিন হাওলাদার ও মেয়ে মাহফুজা আক্তার। ছোট ছেলে মহসিন বিদেশে থাকে এবং লিটন হালদার একই এলাকায় একটু দূরে থাকে। মেয়ে মাহফুজা আক্তার তার স্বামীর বাড়ি থাকে।
ছেলে লিটন হাওলাদার জানায়, আমাদের একই এলাকার রুমান হওলাদারের পরিবারের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে জায়গা জমি নিয়ে বিরোধ ছিল। তারা বিভিন্ন সময় হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছে। এছাড়া এলাকায় কারো সাথে আমাদের বিরোধ নেই।
খবর পেয়ে পিরোজপুর সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল যায়।
পিরোজপুর সদর থানার ওসি রবিউল ইসলাম জানায়, প্রাথমিকভাবে এটি হত্যাকাণ্ড বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।
এই হত্যাকাণ্ড তদন্তে ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছে পুলিশ সহ বিভিন্ন তদন্তকারী সংস্থা ।এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।