ঢাকা
খ্রিস্টাব্দ

কাস্টমসে পণ্য শুল্কায়নের কার্যক্রম চলছে স্বস্তিতে বন্দর ব্যবহারকারী ব্যবসায়ীরা

দৈনিক লাল সবুজ বাংলাদেশ

নিজস্ব সংবাদদাতা | দৈনিক লাল সবুজ বাংলাদেশ
চট্টগ্রাম
মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫, ১২.০২ পূর্বাহ্ন

আপডেট : মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫, ১২.০২ পূর্বাহ্ন


নিউজটি দেখেছেনঃ 486143 জন

  • নিউজটি দেখেছেনঃ 486143 জন
কাস্টমসে পণ্য শুল্কায়নের কার্যক্রম চলছে স্বস্তিতে বন্দর ব্যবহারকারী ব্যবসায়ীরা
ছবি : সংবাদদাতা প্রেরিত।

চট্টগ্রাম কাস্টমসে আমদান-রফতানি পণ্য শুল্কায়নের কার্যক্রম ফের আগের মতো চলছে। ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি প্রত্যাহারের পর দুইদিনের অচলাবস্থা কাটিয়ে সোমবার চট্টগ্রাম বন্দরে রফতানি পণ্য প্রবেশ ও আমদানি পণ্য সরবরাহ এবং জাহাজে পণ্য ওঠানামাসহ সবধরনের কার্যক্রম পুরোদমে সচল হয়েছে। আমদানি-রফতানি কার্যক্রম স্বাভাবিক হওয়ায় স্বস্তি ফিরেছে বন্দর ব্যবহারকারী ব্যবসায়ীদের মধ্যে।


জানতে চাইলে চট্টগ্রাম কাস্টমসের উপকমিশনার সাইদুল ইসলাম বলেন, কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা আসার পর রাতেই আমাদের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। তবে আজ (সোমবার) সকাল থেকে আমদানি-রফতানি সংক্রান্ত সবধরনের কার্যক্রম একেবারে পুরোদমে শুরু হয়েছে।

বিভিন্ন দাবিতে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের ডাকা ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচির কারণে গত শনিবার থেকে দেশের আমদানি-রফতানি কার্যক্রমের প্রধান কেন্দ্র চট্টগ্রাম কাস্টমসে সবধরনের কাজ বন্ধ হয়ে যায়। শুল্কায়নের পর কাস্টমস নথি ছাড় না করায় চট্টগ্রাম বন্দর থেকে আমদানি পণ্য নিয়ে কনটেইনার বের হওয়া প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। একইভাবে বেসরকারি ডিপো থেকে রফতানি পণ্য নিয়ে কনটেইনার বন্দরে প্রবেশও বন্ধ হয়ে যায়।


একইসাথে দেশের সব কাস্টম হাউজ ও শুল্ক স্টেশনের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে আমদানি-রফতানি বাণিজ্যে অচলাবস্থা তৈরি হয়। এ অবস্থায় রোববার রাতে ঢাকায় ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের নেতারা।


কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা আসার পর ওই রাত থেকেই মূলত সচল হতে শুরু করে চট্টগ্রাম কাস্টমস ও বন্দর। সচল হয় বেসরকারি কনটেইনার ডিপোগুলোও। সোমবার সকাল থেকে কাস্টমস প্রাঙ্গনে পণ্যছাড়ের নথি নিয়ে ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরোয়ার্ডিং (সিএন্ডএফ) এজেন্টদের আনাগোণা দেখা যায়। বন্দরেও কনটেইনারবাহী ভারি যানবাহনের প্রবেশ ও পণ্য নিয়ে কনটেইনার বের হতে দেখা গেছে।


চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, বন্দরে এখন আর কোনো অচলাবস্থা নেই। দ্রুতগতিতে কনটেইনার ডেলিভারি দেওয়া হচ্ছে। আটকে থাকা কনটেইনারগুলোও জাহাজে তোলার জন্য বন্দরে আসছে। সব কার্যক্রম একদম স্বাভাবিক আছে। গত দু’দিনে কিছু কনটেইনার জমে গেছে। আমরা দ্রুত সেগুলো ডেলিভারি দিয়ে বন্দরের ইয়ার্ড খালি করছি।


সূত্রমতে, দুইদিনের অচলাবস্থার কারণে চট্টগ্রাম বন্দরে প্রায় পাঁচ হাজার অতিরিক্ত কনটেইনার জমে যায়। গত রোববার রাতে কর্মসূচি প্রত্যাহারের পর বন্দরের জেটিতে ‘এমভি আমালফি বে’ নামে একটি জাহাজ থেকে কনটেইনার খালাস শুরু হয়। সোমবার সকাল পর্যন্ত ওই জাহাজ থেকে ৩১০টি কনটেইনার খালাস হয়েছে। এছাড়া রাতভর কনটেইনার তোলার পর একটি জাহাজও সকালে চট্টগ্রাম বন্দরের জেটি ছেড়ে গেছে।


চট্টগ্রাম বন্দরের অভ্যন্তরে ৫৩ হাজার ৫১৮ টিইইউস (প্রতিটি ২০ ফুট দৈর্ঘ্যের একক হিসেবে) কনটেইনার রাখার জায়গা আছে। তবে ৪০ হাজার টিইইউসের বেশি কনটেইনার ডেলিভারির জন্য বন্দরের ভেতরে অপেক্ষমাণ থাকলে স্বাভাবিক কার্যক্রমে প্রভাব পড়ে এবং দ্রুত জট পরিস্থিতি তৈরি হয়।



নিউজটি পোস্ট করেছেনঃ এলএসবিডি/হেনা

কমেন্ট বক্স
বাংলাদেশ | জাতীয়
দৈনিক লাল সবুজ বাংলাদেশ

নিজস্ব সংবাদদাতা | দৈনিক লাল সবুজ বাংলাদেশ
চট্টগ্রাম
মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫, ১২.০২ পূর্বাহ্ন
আপডেট : মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫, ১২.০২ পূর্বাহ্ন