ঢাকা
খ্রিস্টাব্দ

ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে বৃষ্টিতে যাত্রীদের চরম ভোগান্তী

দৈনিক লাল সবুজ বাংলাদেশ

নিজস্ব সংবাদদাতা | দৈনিক লাল সবুজ বাংলাদেশ
সিলেট
শুক্রবার, ৩০ মে ২০২৫, ১.২৩ অপরাহ্ন

আপডেট : শুক্রবার, ৩০ মে ২০২৫, ১.২৩ অপরাহ্ন


নিউজটি দেখেছেনঃ 616259 জন

  • নিউজটি দেখেছেনঃ 616259 জন
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে বৃষ্টিতে যাত্রীদের চরম ভোগান্তী
ছবি : সংবাদদাতা প্রেরিত।

ঢাকা সিলেট মহাসড়কে বৃষ্টিতে যাত্রীদের চরম ভোগান্তী পোহাতে হচ্ছে। গত দু’দিনের বৃষ্টিতে লাগামহীন কষ্ট পোহাতে হচ্ছে পথচারীদের । সরেজমিনে দেখা যায়, মহাসড়ক হলেও সামান্য বৃষ্টিতে খানাখন্দগুলো রূপ নেয়  ছোটো খাটো পুকুরে। সেই পুকুর পার হতে গিয়ে প্রায়ই গাড়ি উল্টে যাচ্ছে। দুর্ঘটনায় হতাহতের ঘটনা ঘটছে। নির্ধারিত গন্তব্যে  পৌঁছাতে অতিরিক্ত সময় লাগছে। মহাদুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে যাত্রী সাধারণকে। আর এসবই হচ্ছে চার লেন প্রকল্পের কাজে ধীর গতির কারণে। এখন জনদুর্ভোগের আরেক নাম ঢাকা-সিলেট ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়ক।


সিলেট-ঢাকা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-কুমিল্ল-সিলেট মহাসড়কের আশুগঞ্জ থেকে আখাউড়া পর্যন্ত চারলেন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে সরকার। তবে নানা কারণে কাজের গতি একেবারেই ধীর। তিন প্যাকেজে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হওয়ার কথা থাকলেও ইতিমধ্যে ১টি প্যাকেজ বাদ দেয়া হয়েছে। ফলে আশুগঞ্জ নৌ-বন্দর থেকে আখাউড়ার তন্তর পর্যন্তই চার লেনের কাজ হবে। বাদ পড়েছে তন্তর থেকে আখাউড়া স্থলবন্দর পর্যন্ত চার লেনের কাজ।


এদিকে সিলেট-ঢাকা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের কয়েকটি পয়েন্টে এখন জন দুর্ভোগ চরমে। গত কয়েক মাস ধরেই চলছে এ অবস্থা। চারলেনে উন্নীতকরণ কাজের জন্যই এই দুর্ভোগ। আর এর কেন্দ্রে আছে আশুগঞ্জ গোলচত্বর ও বিশ্বরোড গোলচত্বর। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরের রাধিকা থেকে উজানিসার পর্যন্ত সড়কের অবস্থা বেহাল। বৃষ্টি হলেই খানাখন্দে জমে পানি, দীর্ঘ যানজটে পড়ে নষ্ট হয় মূল্যবান সময়। দুর্ঘটনাতো লেগেই থাকে।


বিশ্বরোড এলাকার কয়েকজন স্থায়ী অধিবাসী ও যাত্রী জানান, বৃষ্টি হলেই এখানকার অবস্থা নাজুক হয়ে পড়ে। কিছুক্ষণ পরপর গাড়ি উল্টে রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। গাড়ি বন্ধ করে চালকদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয়। অনেকে আবার ঘুমিয়েও পড়েন। ঈদের আগে এ অবস্থা হলে আর রক্ষা থাকবে না বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন অনেকে।


এছাড়া বিরাশার বাসস্ট্যান্ডের গ্যাস ফিল্ডের সামনেও বিশাল খানাখন্দ। এখানেও প্রতিনিয়তই দেখা যায় যাত্রীবাহী বাস ও মালামাল বোঝাই ট্রাক পড়ে রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়।


তবে সহসা এই উন্নয়ন দুর্ভোগের অবসান হচ্ছে না। ৫ বছর মেয়াদী এই প্রকল্পটি শেষ হওয়ার কথা আগামী ৩০ জুন। অথচ পুরো প্রকল্পের এখন পর্যন্ত অগ্রগতি মাত্র ৫৭ ভাগ। অবশিষ্ট কাজ শেষ করতে আরও ২ বছর মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রকল্প ব্যবস্থাপক মো. শামীম আহমেদ।


নিউজটি পোস্ট করেছেনঃ এলএসবিডি/হেনা

কমেন্ট বক্স
বাংলাদেশ | জাতীয়
দৈনিক লাল সবুজ বাংলাদেশ

নিজস্ব সংবাদদাতা | দৈনিক লাল সবুজ বাংলাদেশ
সিলেট
শুক্রবার, ৩০ মে ২০২৫, ১.২৩ অপরাহ্ন
আপডেট : শুক্রবার, ৩০ মে ২০২৫, ১.২৩ অপরাহ্ন