ঢাকা
খ্রিস্টাব্দ

সেবা প্রাপ্তিতে বহাল থাকছে ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বার

◾ প্রশাসক নিয়োগ নিয়ে আলোচনা
দৈনিক লাল সবুজ বাংলাদেশ

লালসবুজ বাংলাদেশ রিপোর্ট ।।
নিউজটি দেখেছেনঃ 1621831 জন
  • নিউজটি দেখেছেনঃ 1621831 জন
সেবা প্রাপ্তিতে বহাল থাকছে ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বার
প্রতীকি ছবি।


দেশের ৪ হাজার ৫৭১টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের অবস্থান বজায় রাখতে চেষ্টা চলছে। স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা জানিয়েছেন, প্রশাসক নিয়োগের প্রাথমিক চিন্তা থাকলেও বর্তমানে সরকার ৬৯ হাজারেরও বেশি জনপ্রতিনিধির বিকল্প কর্মকর্তা খুঁজে পাচ্ছে না।


চুয়াডাঙ্গার আলুকদিয়া ও পদ্মবিলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পলাতক রয়েছেন, ফলে সেখানে উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তবে তাদের বাড়তি দায়িত্বের কারণে স্থানীয় সেবা প্রদানকারী কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে, যার ফলে জনসাধারণ নানা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।


অন্যদিকে, নওগাঁর বক্তারপুর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান দায়িত্ব পালন করছেন এবং সেখানে কোন সমস্যা দেখা যাচ্ছে না। তবে, চেয়ারম্যানরা অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য পদচ্যুত হওয়ার আতঙ্কে ভুগছেন।


শংকরচন্দ্র ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মহিউল আলম সুজন মন্তব্য করেছেন, "আমরা জনগণের ভোটে নির্বাচিত, তাই আমাদের পদ বাতিল করা হলে সেটি অন্যায় হবে।" নওগাঁর বক্তারপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সারওয়ার কামালও একই মত প্রকাশ করেছেন।


বর্তমানে, ৪১ হাজার ১৩৯ জন সদস্য এবং ১৩ হাজার ৭১৩ জন সংরক্ষিত সদস্যসহ ইউনিয়ন পরিষদে বেশ কিছু পরিবর্তন আসছে। সরকারের তরফে বলা হয়েছে, ইউপির চেয়ারম্যানদের অপসারণ করার কোন পরিকল্পনা নেই, কারণ এতে গ্রামের সেবা প্রদান ব্যাহত হবে।


বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ বলেন, সাড়ে তিনশোর মতো ইউপিতে দায়িত্বশীল কেউ ছিল না। সেখানে প্রশাসককে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি কমিটিও গঠন করে দেয়া হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদ বাতিল করার কোনো সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি। বাতিল করলে গ্রাম পর্যায়ে সেবাপ্রাপ্তিতে ধাক্কা লাগবে। কেননা, একটি গ্রাম নিয়েও ওয়ার্ড গঠিত। সেজন্য ইউপি ভেঙে দিয়ে গ্রাম পর্যায়ে সেবা পৌঁছে দেয়ায় ব্যঘাত হোক সেটি চায় না সরকার।


আপাতত প্রশাসক পরিচালিত সিটি-পৌরসভা-উপজেলা ও জেলা পরিষদে নির্বাচনের কোনো পরিকল্পনা হয়নি বলেও জানিয়েছেন উপদেষ্টা। তিনি বলেন, জনগণের সাথে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে নির্ধারণ করা হবে নির্বাচন কখন হবে। নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে আগে। তাছাড়া সংসদ নির্বাচনের আগে কোনো স্থানীয় সরকার নির্বাচন হবে কিনা- তা নিয়ে এখনও পরিকল্পনা করেনি অন্তর্বর্তী সরকার।


এছাড়া, প্রশাসক পরিচালিত সিটি, পৌরসভা, উপজেলা ও জেলা পরিষদের নির্বাচনের বিষয়ে কোন সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নেই। জনগণের সেবার নিশ্চয়তার বিষয়ে মন্ত্রণালয় আপাতত ছাড় দিতে রাজি নয়।

সূত্র: যুমনা টিভি/ আমাদেরসময়.কম


নিউজটি পোস্ট করেছেনঃ এলএসবিডি/এনকেডি

কমেন্ট বক্স
দৈনিক লাল সবুজ বাংলাদেশ

লালসবুজ বাংলাদেশ রিপোর্ট ।।

আপডেট :
সর্বশেষ সংবাদ