ঢাকা
খ্রিস্টাব্দ

সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ-সহ ১২৬জনের নামে মামলা

◻ অজ্ঞাত আসামী আরো ৪০০/৫০০ জন।
দৈনিক লাল সবুজ বাংলাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক ।।
নিউজটি দেখেছেনঃ 1643714 জন
  • নিউজটি দেখেছেনঃ 1643714 জন
সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ-সহ ১২৬জনের নামে মামলা
ছবি- সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এবং সাবেক সংসদ সদস্য মাহবুব-উর রহমান রুহেল।

দুই বছর আগে চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইশরাক হোসেনের গাড়িবহরে হামলা-ভাঙচুর ও আহত করার অভিযোগে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনসহ ৬২৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। মামলায় এজহার নামীয় ১২৬ জনসহ অজ্ঞাত আরো ৫০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। বৃহষ্পতিবার রাতে চট্টগ্রামের মিরসরাই থানায় মামলাটি করেন ফেনী সদর উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক মোঃ শাহাদাত হোসেন চৌধুরী।


মামলার অন্য আসামিরা হলেন, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের মেজো সন্তান ও চট্টগ্রাম-১ মিরসরাই আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মাহবুব উর রহমান রুহেল, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মো. জসিম উদ্দিন, মো এনায়েত হোসেন নয়ন ও গিয়াস উদ্দিন, মিরসরাই পৌরসভার সাবেক মেয়র মো. গিয়াস উদ্দিন, বারইয়ারহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র রেজাউল করিম খোকন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক একেএম জাহাঙ্গীর ভূঁইয়া, কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা নিয়াজ মোর্দ এলিট, উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তানভীর হোসেন চৌধুরী তপু, মিরসরাই উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মাঈনুর ইসলাম রানা, সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম খলিল ভূঁইয়াসহ ১৬ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, মিরসরাই পৌরসভার সব কাউন্সিলরসহ (১২৬ জনের) নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৪০০/ ৫০০জনকে আসামি করা হয়েছে।


মামলার বাদী মোঃ শাহাদাত হোসেন চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, বিএনপির ১২ অক্টোবর ২০২২ সালে বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচি চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমাবেশে যাওয়ার সময় মিরসরাই পৌরসভার মহাসড়কে ফুটওভারব্রীজ এর নিচে গেলে ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের নির্দেশে হামলা চালিয়ে বহরের গাড়ি ভাংচুর চালায়। হত্যার উদ্দেশ্যে রক্তাক্ত আহত করে। অনেকের পরনের কাপড় খুলে উলঙ্গ করে মারধর করে আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের সন্ত্রাসীরা। আহতদের হাসপাতালে নিতেও বাঁধা দেয় তারা। আবদুল আওয়াল মিন্টু সাহেবের ভাই আকবর সাহেবের গাড়ি ভেঙ্গেচুরে তছনছ করে সন্ত্রাসীরা।


মামলার অভিযোগে বলা হয়, বিবাদীগন সন্ত্রাসী বাহীনি দিয়ে রাজত্ব কায়েম করে। ১২ অক্টোবর ২০২২ সালে চট্টগ্রাম বিভাগীয় গণ সমাবেশ থাকায় বিএনপি’র ঢাকা মহানগর দক্ষিন ও আন্তর্যাতিক কমিটির সদস্য ইশরাক হোসেন এর গাড়ী বছরের সাথে আমাদের গাড়ীসহ সর্বমোট প্রায় ৫০-৬০ টি গাড়ী ছিল। ইশরাক হোসেন এর গাড়ী বহরের সাথে ফেনী জেলা যুবদল, ছাত্রদলসহ গাড়ীবহর যুক্ত হয়ে চট্টগ্রাম জেলা সদরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা করি। আমাদের গাড়ী বহর -১৯ অক্টোবর সকাল সাড়ে ১১টায় মিরসরাই থানাধীন মিরসরাই থানা পার হয়ে ২শ গজ সামনে পৌঁছালে উল্লেখিত ১-৫ নং বিবাদীদের নির্দেশে রাম দা, ছুরিসহ দেশী/বিদেশী অস্ত্র-শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ককটেল/বোমা বিস্পোরণ ঘটিয়ে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করে। গাড়ীবহরে অতর্কিত হামলা করে গাড়ী ভাংচুরসহ হত্যার উদ্দেশ্যে আমাদের মারধর করিয়া আমিসহ আমাদের দলীয় নেতাকর্মীদের গুরুত্বর রক্তাক্ত জখম করে। প্রায় ৩০ টি গাড়ি ভাংচুর করে প্রায় এক কোটি পঞ্চাশ লক্ষ টাকার ক্ষতি করে। এছাড়াও আমাদের বিভিন্ন জনের মোবাইল পকেটে থাকা নগদ প্রায় এক কোটি টাকা চুরি করে নিয়ে যায়।


মিরসরাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবদুল কাদের গণমাধ্যমকে জানান, মিরসরাই থানায় মোঃ শাহাদাত হোসেন চৌধুরী বাদি হয়ে ইশরাক হোসেনের গাড়ি বহরে হামলার অভিযোগে মামলা করেছেন। আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।


নিউজটি পোস্ট করেছেনঃ এলএসবিডি/এনকেডি

কমেন্ট বক্স
দৈনিক লাল সবুজ বাংলাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক ।।

আপডেট :
সর্বশেষ সংবাদ