শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর, রাষ্ট্র সংস্কারের লক্ষ্যে নেতৃত্ব গ্রহণ করেছে ড. মুহাম্মদ ইউনূস পরিচালিত অন্তর্র্বতী সরকার। নির্বাচনের জন্য একটি গ্রহণযোগ্য কমিশন গঠনের পাশাপাশি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে কাজ শুরু করেছে সরকার। সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান আগামী ১৮ মাসের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের কথা বলেছেন।
বিএনপি, জামায়াত, হেফাজতে ইসলাম, এবি পার্টি, ইসলামী আন্দোলন ও গণঅধিকার পরিষদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল দ্রুত নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করার দাবি জানাচ্ছে। ছাত্র-জনতাও নির্বাচনকে ঘিরে উজ্জীবিত।
অতীতের নির্বাচনে নাগরিকদের ভোটাধিকার হরণের ঘটনা নিয়ে বিতর্ক থাকলেও, বর্তমানে নতুন নির্বাচন ব্যবস্থার জন্য সরকারের পরিকল্পনা চলছে। ইতোমধ্যে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসও সংস্কার ও নির্বাচনের বিষয়ে আশাবাদী।
নির্বাচন কমিশন সংস্কারের জন্য গঠিত কমিশন কাজ শুরু করেছে এবং আগামী তিন মাসের মধ্যে সুপারিশ জমা দেওয়ার প্রত্যাশা করছে। রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা নির্বাচন ও সংস্কারের জন্য সরকারকে সহযোগিতার আহ্বান জানাচ্ছেন।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বর্তমান সরকারের দায়িত্ব হলো একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত করা। নির্বাচনের সঠিক পরিকল্পনা না হলে গণতন্ত্রের ভিত্তি দুর্বল হবে এবং ভবিষ্যতে স্বৈরাচারী সরকার পুনরায় উত্থান ঘটাতে পারে।
রাজনৈতিক পরিবেশ এখন নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে, এবং জনগণের আশা এক ভালো নির্বাচনের।