শিক্ষাক্রমের বারবার পরিবর্তনে শিক্ষার্থীরা হোঁচট খাচ্ছে। স্বাধীনতার পর থেকে দেশে সাত বার শিক্ষাক্রমের পরিবর্তন হয়েছে, যা বিশেষ করে গত দেড় দশকে তীব্রতর হয়েছে। ১৯৭৭ সালে প্রথম শিক্ষাক্রম প্রণয়ন করা হয় এবং পরবর্তী সময়ে ১৯৮৬, ১৯৯২, ১৯৯৫, ২০০২, ২০১২ ও ২০২৩ সালে বিভিন্ন পরিবর্তন ঘটে।
বর্তমানে, নতুন অভিজ্ঞতানির্ভর মূল্যায়ন পদ্ধতি শুরু হয়েছে, যা শিক্ষাবিদদের মধ্যে তীব্র সমালোচনা সৃষ্টি করেছে। শিক্ষার্থীদের ও অভিভাবকদের জন্য এই পরিবর্তনগুলো বিভ্রান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। শিক্ষকরা নতুন পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীদের কীভাবে পরিচালনা করবেন, তা বোঝতে পারছেন না। ফলস্বরূপ, শিক্ষা মন্ত্রণালয় নতুন শিক্ষাক্রমের বাস্তবায়নযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।
শিক্ষাবিদরা বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, ধারাবাহিক শিক্ষাক্রম পরিবর্তন শিক্ষার্থীদের জন্য ক্ষতিকর। তাদের মতে, পাঠ্যপুস্তক নিয়ে রাজনীতির খেলা বন্ধ করতে হবে। শিক্ষা কার্যক্রমে পরিবর্তন আনতে যথাযথ গবেষণা ও পরিকল্পনা প্রয়োজন।
এদিকে, পুরোনো শিক্ষাক্রমের আলোকে নতুন পাঠ্যবইয়ের পরিমার্জন চলছে। কিন্তু নতুন শিক্ষাবর্ষে বড় পরিবর্তনের সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। তিনি জানান, পাঠ্যবইয়ে বড় ধরনের সংস্কারের জন্য সময় প্রয়োজন।
এমন পরিস্থিতিতে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) একটি কমিটি গঠন করেছে, যাতে অপচয়ের পরিমাণ নির্ধারণ করা হবে। বর্তমান পরিস্থিতিতে, শিক্ষাব্যবস্থায় স্থায়ী সংস্কারের অভাব এবং পূর্ববর্তী কমিশনগুলোর সুপারিশ বাস্তবায়নে জটিলতা দেখা দিয়েছে। ফলে দেশের শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে গভীর চিন্তার প্রয়োজন রয়েছে।