কুমিল্লার মাতৃভাণ্ডার রসমালাই দেশের মধ্যে বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেছে। এই অঞ্চলের রসমালাইয়ের স্বাদ নিতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ ছুটে আসে। যদিও দেশের নানা মিষ্টির দোকানে রসমালাই পাওয়া যায়, মাতৃভাণ্ডারের রসমালাইয়ের চাহিদা এখনও শীর্ষে।
প্রতিষ্ঠার ইতিহাস
১৯৩০ সালে মনোহরপুরে মিষ্টির দোকান হিসেবে মাতৃভাণ্ডারের যাত্রা শুরু হয়। দুই সহোদর খনিন্দ্র এবং মণীন্দ্র সেন গুপ্ত প্রথমে দই জাতীয় মিষ্টান্ন তৈরি করেন। পরবর্তীতে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের পর তাদের উদ্যোগে রসমালাইয়ের উৎপাদন শুরু হয়, যা দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।
স্বাদ ও গুণ
মাতৃভাণ্ডারের রসমালাই তৈরির প্রক্রিয়া অত্যন্ত যত্নসহকারে সম্পন্ন হয়। গরুর দুধ সংগ্রহের পর সেটিকে ঘন করে রসমালাই প্রস্তুত করা হয়। এখানকার রসমালাইয়ে গুণগত মানের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়, যা ক্রেতাদের কাছে এই পণ্যের বিশেষত্ব তৈরি করেছে।
ভেজালের সমস্যা
মাতৃভাণ্ডারের জনপ্রিয়তার ফলে দেশের বিভিন্ন স্থানে নকল প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে, যা এই নাম ব্যবহার করে প্রতারণা করছে। এইসব প্রতিষ্ঠানের মানের সাথে মাতৃভাণ্ডারের তুলনা করাই সম্ভব নয়।
ভোক্তাদের প্রতিক্রিয়া
ক্রেতারা মাতৃভাণ্ডারের রসমালাইয়ের স্বাদ নিয়ে সন্তুষ্ট। স্থানীয় ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা তাদের অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করে জানান, মাতৃভাণ্ডারের রসমালাই ছাড়া তাদের তৃপ্তি মেলে না।
মালিকের বক্তব্য
বর্তমান স্বত্বাধিকারী অনির্বাণ সেন গুপ্ত জানান, শতাব্দীকাল ধরে এই প্রতিষ্ঠানের স্বত্ত্বা বজায় রাখতে চেষ্টা করছেন। মাতৃভাণ্ডারের রসমালাইয়ের প্রতি মানুষের আগ্রহ দিন দিন বাড়ছে, বিশেষ করে উৎসবের সময়।
মাতৃভাণ্ডার রসমালাই শুধু একটি মিষ্টি নয়, এটি কুমিল্লার ঐতিহ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এই প্রতিষ্ঠানকে নিয়ে গর্ব অনুভব করেন এখানকার বাসিন্দারা এবং দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ।