প্রতি বছর ৫ অক্টোবর পালন করা হয় বিশ্ব শিক্ষক দিবস, যা শিক্ষকদের অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে অত্যন্ত গৌরব ও মর্যাদার সঙ্গে উদ্যাপন করা হয়। শিক্ষকদের সম্মান করা আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
শিক্ষকরা জাতির মেরুদণ্ড, এবং তাদের সম্মান রক্ষা করা অপরিহার্য। নব্বইয়ের দশকে ছাত্রদের মধ্যে শিক্ষকদের প্রতি যে শ্রদ্ধাবোধ ছিল, তা এখনও অনেকাংশে বিদ্যমান। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা জানান, সেই সময়ের তুলনায় বর্তমানে শিক্ষকদের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি পেয়েছে, যদিও শিক্ষার্থীদের প্রতি ভালবাসার সম্পর্কের কিছু অভাব দেখা দিয়েছে।
২০০১ সালে অবসরে যাওয়া শিক্ষক সুলতান উদ্দিন আহমেদ জানান, পূর্বের শিক্ষাব্যবস্থা ও বর্তমানের মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে। তিনি বলেন, তখন শিক্ষকেরা ছাত্রদের প্রতি স্নেহ ও শাসন দিয়ে পড়ালেখা শেখাতেন। এখন আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারে শিক্ষার্থীরা অনেক বেশি জ্ঞানী হচ্ছে, তবে নৈতিক শিক্ষার অভাব দেখা দিয়েছে।
অন্যদিকে, কাইমদ্দিন ওরফে কিয়াম মাস্টার বলেন, বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থায় শিশুদের নীতি নৈতিকতার শিক্ষা দেওয়া প্রয়োজন। তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেন যে, বর্তমানে ছাত্রদের মধ্যে শৃঙ্খলার অভাব রয়েছে।
নব্বই দশকের ছাত্র আবুল হোসেন মোল্লা এবং অন্যান্য শিক্ষার্থীরা মনে করেন, তারা তখন নিয়মিত পড়াশোনা ও খেলাধুলা করতেন, যা এখনকার ছেলেমেয়েদের মধ্যে নেই। বর্তমান ছাত্রদের চাপের মধ্যে পড়াশোনা করতে হচ্ছে, যা তাদের মানসিক স্বাস্থ্যকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।
শিক্ষকদের এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে সম্পর্ক এবং শিক্ষাব্যবস্থার উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা চলমান রয়েছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষাব্যবস্থায় আরও পরিবর্তন আসবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে, তবে সবার আগে নৈতিক শিক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরা অপরিহার্য।