জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত একটি আলোচনা সভায় বক্তারা বললেন, রাষ্ট্র ক্ষমতায় যারা থাকেন, তারা পুলিশ বাহিনীকে প্রায়শই নিপীড়নের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেন। এই সভার মূল বিষয় ছিল ‘গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা ও পুলিশি ব্যবস্থার সংস্কার’।
পুলিশের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মাহবুবুর রহমান সভায় জানান, পুলিশ সংস্কার করার আগে শাসন ব্যবস্থার সামগ্রিক সংস্কার জরুরি। তিনি বলেন, "শুধু পুলিশ সংস্কার করলে তা কার্যকর হবে না।" তিনি গত সরকারের সময়ে পুলিশের ব্যবস্থাকে অত্যাচারী হিসেবে অভিহিত করেন।
সাবেক ডিআইজি খান আবু সাঈদ মন্তব্য করেন, বর্তমান সরকারের হাতে পুলিশের সংস্কারের জন্য যথেষ্ট নীতিমালা রয়েছে, তবে রাজনৈতিক নেতাদের সদিচ্ছা থাকা আবশ্যক। তিনি বলেন, "প্রশাসনের সদিচ্ছা থাকলে বিদ্যমান আইন ও পুলিশ বাহিনী দিয়েই কার্যকর কাজ করা সম্ভব।"
মানবাধিকার কর্মী অধ্যাপক সি আর আবরার অতীত সরকারের সময় পুলিশের দলীয়ীকরণের কথা উল্লেখ করে বলেন, রাজনৈতিক সদিচ্ছা ছাড়া সমাজে সাম্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়। তিনি সতর্ক করেন, এই সুযোগ যদি হারিয়ে যায়, তবে তা পুনরুদ্ধারে আরও দীর্ঘ সময় লাগতে পারে।
সভায় রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম বলেন, বর্তমান পুলিশ প্রশিক্ষণ পদ্ধতি অনেক সময় সাধারণ মানুষকে খুনি পরিণত করে। তিনি একটি কার্যকর ও মানবিক পুলিশ বাহিনী প্রতিষ্ঠার জন্য একটি নতুন পদ্ধতির প্রয়োজনীয়তার কথা জানান। সভায় বক্তারা একমত হন যে, পুলিশকে জনগণের সুরক্ষায় কাজ করতে হবে এবং তাদের ওপর মানুষের আস্থা তৈরি করতে হবে।