আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৮তম জন্মদিন আজ। তিনি ১৯৪৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর গোপালগঞ্জের মধুমতী নদী বিধৌত টুঙ্গিপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছার বড় সন্তান শেখ হাসিনা। ১৯৮১ সাল থেকে আওয়ামী লীগের সভাপতি তিনি। ছাত্র আন্দোলনের প্রেক্ষিতে ৫ আগস্ট সরকার পতনের দিন তিনি দেশ ছেড়ে ভারতে চলে যান। বর্তমানে তিনি ভারতেই অবস্থান করছেন।
এদিকে দলের সভাপতি শেখ হাসিনার ৭৮তম জন্মদিনটি যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনের জন্য আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মী-সমর্থক এবং দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার ভোরে আওয়ামী লীগের ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এ আহ্বান জানানো হয়।
এতে বলা হয়, “দিনটি যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতা-কর্মী-সমর্থক এবং দেশবাসীর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানানো হচ্ছে। এ উপলক্ষ্যে দেশের সকল মসজিদ, মন্দির, প্যাগোডা, গির্জায় তার দীর্ঘায়ু এবং সুস্বাস্থ্য কামনা এবং দেশবাসীর জীবনে চলমান দুর্যোগ থেকে উত্তরণের লক্ষ্যে দোয়া, মোনাজাত ও প্রার্থনার আয়োজন করা হবে।
আরও বলা হয়, মুক্তিযুদ্ধবিরোধী, উগ্রবাদী দেশি-বিদেশি চক্রের রক্তপাত-সন্ত্রাস-লুটতরাজের মাধ্যমে দেশ ধ্বংসের তৎপরতার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি বর্তমানে প্রবাসে রয়েছেন। কিন্তু জাতির পিতা এবং বাঙালির স্বাধীনতা ও মুক্তির সংগ্রামের লাখো শহীদের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার জন্য তার আজীবনের সংগ্রাম কখনো বৃথা যাবে না। শেখ হাসিনা এবং তার লক্ষ লক্ষ ভক্ত, অনুসারীর সংগ্রাম অব্যাহত আছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করার চেষ্টা ১৯৭১ এবং ১৯৭৫ সহ অতীতে বারবার হয়েছে; ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় সেই দুরভিসন্ধি সফল হয়নি। সকল বিভ্রান্তি-মিথ্যাচার-ভীতি-সংবাদমাধ্যমের কণ্ঠরোধ অতিক্রম করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে উদ্ভাসিত হবে নতুন প্রজন্ম, শেখ হাসিনার মহান নেতৃত্বেই বাংলাদেশের সবুজ জমিনে উদিত হবে রক্তলাল সূর্য, লাখো কণ্ঠে ধ্বনিত হবে, আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি।”
উল্লেখ্য, দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ৫ বার দায়িত্ব পালন করেছেন শেখ হাসিনা। তিনি ১৯৯৬ সালে প্রথমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। এরপর ২০০৮ সালে দ্বিতীয়বার, ২০১৪ সালে তৃতীয়বার, ২০১৮ সালে চতুর্থ-বারের ও ২০২৪ সালে পঞ্চম বারের মতো প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।