ঢাকা
খ্রিস্টাব্দ

নোয়াখালী

যৌথবাহিনীর হাতে গ্রেপ্তারের পর হাসপাতালে সাবেক ছাত্রদল নেতার মৃত্যু

দৈনিক লাল সবুজ বাংলাদেশ

জয়া হাসান | সংবাদদাতা
নোয়াখালী
মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ৫.৪৪ অপরাহ্ন

আপডেট : মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ৫.৪৪ অপরাহ্ন


নিউজটি দেখেছেনঃ 1108724 জন

  • নিউজটি দেখেছেনঃ 1108724 জন
যৌথবাহিনীর হাতে গ্রেপ্তারের পর হাসপাতালে সাবেক ছাত্রদল নেতার মৃত্যু
-ছবি, নিহত আব্দুর রহমান।

নোয়াখালীতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক সাবেক ছাত্রদল নেতার মৃত্যু হয়েছে। নিহত আব্দুর রহমান (৩৩) জেলার সোনাইমুড়ী উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের ৯নম্বর ওয়ার্ডের হীরাপুর গ্রামের হাওলাদার বাড়ির মাওলানা সাইদুল হকের ছেলে। তিনি সোনাপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। সোমবার (১৩ জানুয়ারি) সন্ধ্যার দিকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।  


হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গতকাল সোমবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে পুলিশ আব্দুর রহমান ও হাবিবুর রহমান (২৫) নামে দুই যুবককে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসেন। তাৎক্ষণিক তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ভর্তির পর সন্ধ্যা ছয়টা ২০ মিনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আবদুর রহমান মারা যান। তাদের দুইজনেরই শরীরে নীলা-ফুলা জখম ছিল। কিন্তু তাদের শরীরে গুরুতর কাটাছিঁড়া কিছু ছিল না। হাসপাতালে ভর্তি থাকা হাবিবুর রহমানের অবস্থা এখন শঙ্কামুক্ত নয়।


নিহত আবদুর রহমানের চাচা মো. হানিফ অভিযোগ করে বলেন, গতকাল সোমবার ভোর রাতের দিকে হাওলাদার বাড়িতে অভিযান চালায় যৌথবাহিনী। একপর্যায়ে আমার ভাতিজা আব্দুর রহমান ও একই বাড়ির আরেক ভাতিজা হাবিবুর রহমানকে তাদের ঘর থেকে আটক করে যৌথবাহিনী। আটকের পর তাদের পরিবারের সদস্যদের সামনে মারধর করা হয়। এরপর সকালে স্থানীয় পশ্চিম পাড়া বাবুলের দোকানের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। তখন তাদের কাছ থেকে কার্তুজ ও কিরিচ উদ্ধার করা হয়েছে জানানো হয়। এরপর সকাল আট-নয়টার দিকে তাদের সোনাইমুড়ী থানা সোপর্দ করা হয়।


হানিফ জানান, ভাতিজাকে থানায় সোপর্দ করার পর তাঁরা থানায় গিয়ে তাদের গুরুতর আহত অবস্থায় দেখতে পান। তখন তাঁরা পুলিশকে অনুরোধ করেন তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে। তখন পুলিশ জানায়, আইনী প্রক্রিয়া শেষে আদালতে পাঠানোর পর আদালতে আবেদন করলে সেখান থেকে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে।


হানিফ অভিযোগ করেন, সারা দিন থানা থেকে তার ভাই ও ভাতিজাকে আদালতে না পাঠিয়ে পাঠানো হয় বিকেল পাঁচটায়। আদালতে তাদের উপস্থাপনের পর গ্রহণ না করে আগে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে বললে পুলিশ তাদের বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে ভর্তির পর কিছুক্ষণ পর তাঁর ভাই আবদুর রহমান মারা যান। আর ভাতিজা হাবিবুর রহমান একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।  এলাকায় তাঁর বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ কেউ করতে পারবে না যে, সে কোন অন্যায়, অপরাধ করেছে।


সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মোরশেদ আলম বলেন, সকালে আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠাই।  তখন তাদের মারধরের ঘটনা ঘটেনি। যখন তাদের পুলিশের হাতে হস্তান্তর করা হয় তখন তাদের শারীরিক অবস্থা ভালো ছিল না। তখন তাদের স্থানীয় বজরা হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। আব্দুর রহমানের বিরুদ্ধে থানায় মারামারির ঘটনায় দায়ের হওয়া পূর্বের তিনটি মামলা রয়েছে। আর হাবিবের বিরুদ্ধে কোন মামলা নাই। তাদের কাছ থেকে রাইফেলের লম্বা দুইটি গুলি ও তিনটি রাম দা উদ্ধার করা হয়েছে।’


ওসি মোরশেদ আলম আরো জানান, নিহত যুবকের লাশ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। মঙ্গলবার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে লাশের ময়না তদন্ত শেষে মরদেহ এরপর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।


নিউজটি পোস্ট করেছেনঃ এলএসবিডি/এনকেডি

কমেন্ট বক্স
বাংলাদেশ | জাতীয়
দৈনিক লাল সবুজ বাংলাদেশ

জয়া হাসান | সংবাদদাতা
নোয়াখালী
মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ৫.৪৪ অপরাহ্ন
আপডেট : মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ৫.৪৪ অপরাহ্ন