মাদারীপুরের শিবচরে ভুল চিকিৎসায় এক নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। অপারেশনের টেবিলে মৃত্যু হয় বলে জানান নবজাতকের স্বজনরা। এই ঘটনায় অভিযুক্তদের বিচার ও হাসপাতাল বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন তারা।
বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার পর গণ উন্নয়ন সমবায় হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর রাত ৯টার দিকে হাসপাতাল ছেড়ে পালিয়েছে অভিযুক্ত চিকিৎসক, নার্স ও মালিকপক্ষ। তদন্ত করে এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছে পুলিশ।
নবজাতকের স্বজনরা জানায়, শিবচর উপজেলার কুতুবপুরের বাহাদুর মাদবরের স্ত্রী শিউলি আক্তারকে বৃহস্পতিবার দুপুরে ভর্তি করা হয়। গণ উন্নয়ন সমবায় হাসপাতালে। পরীক্ষা শেষে গাইনি চিকিৎসক আঞ্জুমান আরা শিউলি আক্তারকে সিজার করান। পরে নবজাতকের উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজধানী ঢাকায় একটি হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে নিলে চিকিৎসক নবজাতককে মৃত ঘোষণা করেন।
এই ঘটনার বিচার দাবি করেন স্বজন ও এলাকাবাসী। পরে হাসপাতালটি বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ করে স্বজনরা। ঘটনার পর উত্তেজিত জনতা হাসপাতালের চিকিৎসক আঞ্জুমান আরা ও নার্সদের অবরুদ্ধ করে রাখে। পরে রাত ৯টার দিকে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এরপর থেকে লাপাত্তা অভিযুক্তরা।
নবজাতকের বাবা মো. বাহাদুর মাদবর জানান, অপারেশন টেবিল থেকে আমার সন্তানকে বের করার পর আর কোনো শব্দ পাইনি। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ঢাকায় নিয়ে যেতে বলে। এরপর সেখানে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। কিন্তু অপারেশনের টেবিলেই আমার সন্তান মারা গেল সেটা গোপন রেখে আমাদের ঢাকায় পাঠায়। এই ঘটনার কঠিন বিচার চাই।
হাসপাতালটির ভারপ্রাপ্ত ম্যানেজার ফয়সাল আহম্মেদ জনান, চিকিৎসায় কোনো ত্রুটি করেননি। নবজাতকের অবস্থা খারাপ দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজধানী ঢাকায় প্রেরণ করা হয়।
এ বিষয়ে জানতে গণ উন্নয়ন সমবায় হাসপাতালের পরিচালক ও অভিযুক্ত চিকিৎসকের মোবাইলে কল দিলেও রিসিভ করেননি।
শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোকতার হোসেন বলেন, হাসপাতালে উত্তেজিত জনতার খবর পেয়ে সেখানে যায় পুলিশ। পরে জানতে পারে এক নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে। এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।