বাজার দরের সাথে সংগতি রেখে জাতীয় নূন্যতম মূল মজুরি ২০ হাজার টাকা ঘোষণা, অবাধ ট্রেড ইউনিয়ন করার অধিকার, শ্রম আইনের ১৮৫ (ক) ধারাসহ শ্রমিক স্বার্থ বিরোধী ধারাসমূহ বাতিল করে গণতান্ত্রিক শ্রম আইন প্রণয়ন, শ্রমিক-কৃষক-জনগণের জন্য রেশনিং ব্যবস্থা চালু, চাল, ডাল, তেলসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রীর দাম কমানোর দাবিতে শ্রমিক কর্মচারী সংগ্রাম পরিষদ- চট্টগ্রাম এর উদ্যোগে নিউমার্কেটস্থ দোস্ত বিল্ডিং চত্বরে এক সমাবেশ শ্রমিক কর্মচারী সংগ্রাম পরিষদ এর আহবায়ক আবদুল মোনাফের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মোঃ শাহ আলম এর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, শ্রমিক কর্মচারী সংগ্রাম পরিষদ এর যুগ্ম আহবায়ক মোঃ মামুন, শ্রমিক দরদী মোঃ জয়নাল আবেদীন, বাংলাদেশ ওএসকে গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক জয়ন্তী রায়, চট্টগ্রাম জেলা হোটেল রেষ্টুরেন্ট শ্রমিক ইউনিয়ন এর সভাপতি মোঃ রিপন ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ সাইফুল ইসলাম, বন্দর স্টাফ শ্রমিক ইউনিয়ন এর কার্যকরী সভাপতি আব্দুর রশিদ সহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, পাকিস্তান সরকারের আমলে শ্রমিকদের যে আইনগত অধিকার ও মজুরীর হার ছিল তা আজ আমাদের নাই। ১৯৪৭ ও ১৯৭১ সালে প্রকৃত স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হয় নাই। সাম্রাজ্যবাদ ও তার এদেশীয় দালাল সামন্ত আমলা মুৎসুদ্দি পুঁজির নির্মম স্বৈরাচারী শাসন-শোষণ তিব্র থেকে তিব্র হয়েছে, ফলে সরকার পরিবর্তন হলেও আমাদের জীবন মানের উন্নতি ঘটেনা।
নির্বাচন মানে গণতন্ত্র নয়, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ছাড়া অবাধ ও সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়। প্রকৃত স্বাধীন-গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা কায়েম করতে হলে সাম্রাজ্যবাদ ও তার এদেশীয় দালালদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ লাগাতার সংগ্রাম গড়ে তোলার দায়িত্ব শ্রমিক-কৃষক মেহনতী মানুষকে নিতে হবে। পাশাপাশি জাতীয় নূন্যতম মজুরি ঘোষণা, অবাধ ট্রেড ইউনিয়ন করার অধিকার, বন্ধ কলকারখানা সমূহ চালু, জাতীয় শিল্প গড়ে তোলা, বাঁচার মতো মজুরি, চাকুরির নিশ্চয়তা, জীবনের নিরাপত্তা, কথায় কথায় শ্রমিক ছাটাই নির্যাতন বন্ধের দাবিতে লাগাতার আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য শ্রমিক শ্রেণীর প্রতি আহবান জানানো হয়।
সাথে সাথে সাম্রাজ্যবাদী পরিকল্পনায় সাম্প্রদায়িকতা ও উগ্র জাতীয়তাবাদের সকল অপতৎপরতার বিরুদ্ধে শ্রমিক অঙ্গনে সোচ্চার থেকে শ্রমিক শ্রেণী ও জনগণের ঐক্যকে সমৃদ্ধ করে সাম্রাজ্যবাদ ও তার এদেশীয় দালালদের সকল অপতৎপরতার বিরুদ্ধে শ্রমিক-কৃষক-জনগণের বেঁচে থাকার সংগ্রাম জোরদার করার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানানো হয়। সমাবেশ শেষে এক বিক্ষোভ মিছিল নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক পদক্ষিণ করে পুনরায় নিউমার্কেট চত্বরে এসে শেষ হয়।