ঢাকা
খ্রিস্টাব্দ

রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বর্জ্যে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন স্থানীয় কৃষক

দৈনিক লাল সবুজ বাংলাদেশ

অনলাইন ডেস্ক | দৈনিক লাল সবুজ বাংলাদেশ
ঢাকা
শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ১০.২৪ অপরাহ্ন

আপডেট : শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ১০.২৪ অপরাহ্ন


নিউজটি দেখেছেনঃ 884041 জন

  • নিউজটি দেখেছেনঃ 884041 জন
রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বর্জ্যে  বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন স্থানীয় কৃষক

কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার লম্বাশিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় বর্ষার প্রথম বৃষ্টিতে আবারো ফসলি জমি ও দোকানপাটে ঢুকে পড়েছে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বর্জ্য। ড্রেনেজ ব্যবস্থার চরম অব্যবস্থাপনায় ক্যাম্প থেকে ভেসে আসা এসব বর্জ্যের ফলে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন স্থানীয় কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। গত বুধবার  সকালে ও গতরাত (১৭ই এপ্রিল) বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার পরে টানা বৃষ্টিতে ৪ নম্বর রাজাপালং ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ চাষাবাদযোগ্য জমি সয়লাব হয়ে যায় ক্যাম্পের আবর্জনায়। এতে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন স্থানীয় কৃষক। 


স্থানীয় কৃষক আব্দুল মজিদ বলেন, “বৃষ্টির পানিতে ক্যাম্প থেকে যেভাবে পলিথিন, প্লাস্টিক, টয়লেটের ময়লা আর বর্জ্য আসে, তাতে জমিতে কিছুই করা যায় না। দোকান মালিক জুলফিকার আলী ভুট্টো জানান, ক্যাম্পসংলগ্ন দোকানগুলোতে পানি ঢুকে লাখ লাখ টাকার মালামাল নষ্ট হয়েছে। গত বছরও লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলাম সিআইসি বরাবর, কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি।


স্থানীয় ইউপি সদস্য হেলাল উদ্দিন বলেন, আমরা বিষয়টি কক্সবাজার জেলা প্রশাসক, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন কমিশনার ও উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করেছি। রাজাপালং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মীর সাহেদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, প্রতি বছর বর্ষা এলেই স্থানীয়রা ক্ষতির মুখে পড়ে। এবার রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় পরিকল্পিত পদক্ষেপ নিতে উপজেলা প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়ে এলাকাও পরিদর্শন করেছি।


উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ কামরুল হোসেন চৌধুরী বলেন, যেহেতু ক্যাম্পকেন্দ্রিক তাই আরআরসির সঙ্গে বসে টেকসই উন্নয়ন এবং কৃষকের ক্ষতি না হয় এমন একটি প্রকল্প হাতে নিয়ে কাজ করতে যাচ্ছি। ইতিমধ্যে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে এলাকায় পরিদর্শন করেছি। এনজিওগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হবে। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উখিয়া অঞ্চলে প্রায় ১২০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছিল। এর মধ্যে অন্তত ২৫ শতাংশ জমি রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বর্জ্যে আক্রান্ত হয়েছে। স্থানীয় উন্নয়ন পর্যবেক্ষক ও পরিবেশকর্মী মাসুম বিল্লাহ বলেন, এই সমস্যা কেবল কৃষিকাজ নয়, পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের জন্যও হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। এক্ষেত্রে রোহিঙ্গা ব্যবস্থাপনায় জড়িত সংস্থাগুলোর সমন্বিত উদ্যোগ ছাড়া স্থানীয়দের দুর্ভোগ লাঘব সম্ভব নয়। অন্যথায় স্থানীয় জনগণের জীবিকা হুমকির মুখে পড়বে, যা ভবিষ্যতে বড় ধরনের সামাজিক অস্থিরতার জন্ম দিতে পারে।


নিউজটি পোস্ট করেছেনঃ এলএসবিডি/হেনা

কমেন্ট বক্স
বাংলাদেশ | জাতীয়
দৈনিক লাল সবুজ বাংলাদেশ

অনলাইন ডেস্ক | দৈনিক লাল সবুজ বাংলাদেশ
ঢাকা
শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ১০.২৪ অপরাহ্ন
আপডেট : শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ১০.২৪ অপরাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদ