প্রবাসীদের কল্যাণে কাজ করা প্রবাসীদের অবমূল্যায়ন করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন দুবাই বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশনের সিনিয়র সহ-সভাপতি আলহাজ্ব মোহাম্মদ ইয়াকুব সৈনিক। তিনি এক বিবৃতিতে বলেছেন, দুবাই কনস্যুলেটে বিজয় দিবসের আয়োজনে চরম বৈষম্যমূলক আচরণ করেছে কর্মকর্তারা। দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ কমিউনিটি ও আরব আমিরাত প্রবাসীদের কল্যাণে কাজ করা প্রবাসীদের অবমূল্যায়ন করা হয়েছে। উপস্থিতির তালিকা সীমিত করে বাদ দেওয়া হয়েছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিকে। কর্মকর্তাদের এমন আচারণের তীব্র নিন্দা জানান তিনি।
আবির বিজনেস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোহাম্মদ ইয়াকুব সৈনিক বলেন, প্রবাসীদের সুখে দুঃখে পাশে থেকে দীর্ঘদিন দুবাই কমিউনিটিতে কাজ করছি। সবার জানা আছে, দুবাইয়ের বাংলাদেশ সমিতি আমিরাত সরকারের নিবন্ধিত সংগঠন। দুবাই বাংলাদেশ সমিতির সভাপতি বর্তমানে দেশে আছেন। সে হিসেবে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে সংগঠনের কার্যক্রম পরিচালনা করছি। ব্যবসায়ী সংগঠনের মধ্যে হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। সংগঠনের বাইরেও আমি দীর্ঘদিন এই দেশে ব্যবসা করছি। কমিউনিটির যখন যে প্রয়োজন হয়েছে, সেই প্রয়োজনে এবং অসহায় প্রবাসীদের পাশে দাঁড়ানো চেষ্টা করেছি। এই দুবাইয়ে কেবিএন গ্রুপ, রেস্টুরেন্ট, ফিউচার হোম রিয়েল এস্টেটসহ বেশকিছু স্বনামধন্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে আসছি। অথচ কনস্যুলেট কর্মকর্তাদের বিগত দিনে এমন আচারণ আমাদের দেখতে হয়নি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের বিজয় দিবস সকল বাংলাদেশির আনন্দের দিন। প্রবাসীদের জন্য সেই আনন্দ আরো দ্বিগুণ। কিন্তু বিজয় দিবসে যেভাবে কমিউনিটিকে একপাশে রেখে, একটি মহলের স্বার্থ উদ্ধারের উদ্দেশ্যে যদি দাওয়াত তালিকা সীমিত করা হলো এবং ওই মহলের আস্থাভাজন লোকজন দিয়ে চেয়ার পূর্ণ করা হয়েছে। এটি খুব খারাপ উদাহরণ তৈরি হয়েছে বলে তিনি জানান।
তিনি প্রবাসী কল্যাণ উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, দুবাইয়ে আয়োজিত বিজয় দিবসের নেপথ্যে কি হয়েছে, কারা কমিউনিটিকে সরিয়ে দিয়ে চেয়ার দখলের পায়তারা করেছে এবং রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকে প্রবাসীদের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে এই বিষয়টি খতিয়ে দেখুন। যদি নতুন আসা কনসাল জেনারেল ও দূতালয় প্রধান আশফাক এতে সরাসরি সম্পৃক্ততা থাকে তবে বৃহত্তর প্রবাসীদের স্বার্থে তাকেও অপসারণের দাবি জানান তিনি।