চট্টগ্রাম মহানগরের নিউমার্কেট এলাকায় দখলে যাওয়া ৩০ কোটি টাকার ভূমি উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার অভিযান চালিয়ে ১২টি দোকান আর ৫টি বসতঘর গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন বাংলাদেশ রেলওয়ের চট্টগ্রাম বিভাগীয় ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা দীপংকর তঞ্চঙ্গ্যা।
জানা গেছে, রেলওয়ে পুলিশ ও রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মকর্তাদের (আরএনবি) দোকান প্রতি ২ লাখ টাকা, আর মাসে ৫ হাজার টাকা ভাড়ায় রেলওয়ের ভূমিতে অবৈধভাবে দোকান গেড়ে বসেছিলেন দখলদাররা। অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ চলাকালে এমন অভিযোগ করেন রিপন নামে অবৈধ এক দখলদার। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে রেলওয়ে পুলিশ ও আরএনবি।
রেলওয়ে ভূ-সম্পদ বিভাগ বলছে, কাকে টাকা দিয়েছে, কে টাকা নিয়েছে সেটি ব্যাপার না। তারা রেলের ভূমি ব্যবহারের কোনো বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। এদিকে সকাল ১০টায় উচ্ছেদ অভিযান শুরু হওয়ার কথা থাকলেও উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয় দুপুর আড়াইটার দিকে।
উচ্ছেদ অভিযান শুরু করতে দেরি হওয়ার বিষয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ের চট্টগ্রাম বিভাগীয় ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা দীপংকর তঞ্চঙ্গ্যা বলেন, অভিযান শুরু হওয়ার কথা ছিলো সকাল ১০টায়। তবে যান্ত্রিক ত্রুটি হওয়ায় উচ্ছেদ কার্যক্রম দেরিতে শুরু হয়। আমরা যে স্কেভেটর (ভেকু) ঠিক করেছিলাম সেটির মালিক আমাদের ১১টায় জানায় যে স্কেভেটর স্টার্ট নিচ্ছে না। পরে আরেকটি ঠিক করি। পরবর্তীতে শুনতে পাই ৮-৯টি মোটর সাইকেল তাদেরও ভয়ভীতি দেখিয়ে আসতে বাধা দিচ্ছে। পরে আমি আরএনবির টিম নিয়ে গিয়ে নিরাপত্তা দিয়ে তাদের এনে অভিযান শুরু করেছি।
দীপংকর তঞ্চঙ্গ্যা আরো বলেন, অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করার পর রেলওয়ের ৪০ শতক ভূমি উদ্ধার হয়েছে যার মূল্য প্রায় ত্রিশ কোটি টাকা। রেলের জায়গা দখল করে দোকান করা হয়েছিল। এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের আগে আমরা তাদের নোটিশ দিয়েছিলাম। তারা রেলের ভূমি ব্যবহারের কোনো বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেন নি। চট্টগ্রাম রেলওয়ে নতুন স্টেশনের নিরাপত্তায় সীমানা প্রাচীর বা দেয়াল নির্মাণের জন্য এই স্থাপনাগুলো বাধা হয়েছিলো।
চট্টগ্রাম জেলা রেলওয়ে পুলিশ (জিআরপি) পুলিশ সুপার শেখ শরিফুল ইসলাম বলেন, রেলের জায়গা আমরা কীভাবে ভাড়া দিবো? আমরা এসব কিছুই জানি না। আমাদের ভাড়া দেয়া বা ভাড়া আদায়ের সুযোগ নেই। এটা রেলওয়ে পুলিশের কাজ না। চট্টগ্রাম রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক এসএম শহীদুল ইসলাম বলেন, আমার জানা নেই কে বা কারা ভাড়া দিয়েছে। তবে রেলওয়ে পুলিশ ভাড়া দেয়নি এটা আমি নিশ্চিত করছি।