ঢাকা
খ্রিস্টাব্দ

আন্দোলনের মুখে জবির সেই ইমামকে জুমার নামাজ পড়ানোর অনুমতি

দৈনিক লাল সবুজ বাংলাদেশ


আপডেট : বুধবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ১১.১১ পূর্বাহ্ন


নিউজটি দেখেছেনঃ 1876035 জন

  • নিউজটি দেখেছেনঃ 1876035 জন
আন্দোলনের মুখে জবির সেই ইমামকে জুমার নামাজ পড়ানোর অনুমতি
ছবি : সংগৃহীত

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) কেন্দ্রীয় মসজিদের সেই ইমাম মো. ছালাহ উদ্দিনকে নামাজ পড়ানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে। আজ শুক্রবার (৩১ মে) জবির কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে ইমাম মো. ছালাহ উদ্দিন জুমার নামাজ পড়িয়েছেন।


অনুমতি দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (ভারপ্রাপ্ত) রেজিস্ট্রার ড. মো. আইনুল ইসলাম বলেন, ‘ইমাম মো. ছালাহ উদ্দিনকে সহকারী ইমামের সঙ্গে সমন্বয় করে নামাজ পড়াতে বলা হয়েছে। তবে তদন্ত চলমান থাকবে।


এর আগে ইমামকে অব্যাহতির প্রতিবাদে গতকাল বৃহস্পতিবার (৩০ মে) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ মিছিল ও মানববন্ধন করে। তবে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধনটি শেষ হওয়ার আগেই বাধা প্রদান করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সামনে এলে বাধা প্রদান ও ব্যানার কেড়ে নেওয়া হয়। বাধা প্রদানে নেতৃত্ব দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন।


এর আগে আজ শুক্রবার জনসংযোগ অফিস থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মধ্যরাতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) কেন্দ্রীয় মসজিদে ছাত্রীকে ঘুমন্ত অবস্থায় পাওয়ার ঘটনায় তদন্তের স্বার্থে তাকে ইমামতি থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছিল কর্তৃপক্ষ। তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়নি। এ বিষয়ে কোনো কোনো গণমাধ্যম খতিবকে অপসারণ করা হয়েছে বা অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে বিষয়টি ভুলভাবে উপস্থাপন করেছে, যা অসত্য ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।


বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে গত ১৫ মে রাত ১১টা ২০ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নারী শিক্ষার্থীর অবস্থানের ঘটনা ঘটে।


এ বিষয়ে মসজিদের ইমামসহ (খতিব) সংশ্লিষ্টদের দায়িত্বে অবহেলার বিষয়ে তদন্তপূর্বক একটি নিরপেক্ষ প্রতিবেদন প্রদানের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কর্তৃক একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।


এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘কেন্দ্রীয় মসজিদ ও ইমাম ইস্যুতে একটি বিভ্রান্তি ছড়িয়ে পড়েছিল। তাই আমরা বিষয়টি স্পষ্ট করলাম। তদন্ত শুরু হওয়ায় মৌখিকভাবে ইমামকে নামাজ পড়ানো থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছিল। অব্যাহতি দেওয়া হয়নি।


ঘটনাটি খতিয়ে দেখতে গত ২৭ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক এ কে এম লুৎফর রহমানকে আহ্বায়ক এবং ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক খালেদ সাইফুল্লাহকে সদস্যসচিব করে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।


নিউজটি পোস্ট করেছেনঃ এলএসবিডি/হেনা

কমেন্ট বক্স
দৈনিক লাল সবুজ বাংলাদেশ



আপডেট : বুধবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ১১.১১ পূর্বাহ্ন