কলকাতার আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছেন মানুষ। চাচ্ছেন বিচার। পাশাপাশি চাইছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতার পদত্যাগ। এদিকে রাজপথে নামায় আটক হয়েছেন ভারতীয় বাংলা সিনেমার অভিনেতা ও বিজেপি নেতা রুদ্রনীল ঘোষ।
শুক্রবার (১৬ আগস্ট) কলকাতার শ্যামবাজার মোড় থেকে তাকে আটক করে নিয়ে যায় লালবাজার থানা পুলিশ।
ভারতীয় একাধিক পত্রিকা সুত্রে জানা গেছে, আরজি কর হাসপাতালে জুনিয়র চিকিৎসক ধর্ষণ ও হত্যা ঘটনায় উত্তাল সারা ভারত। সরব আমজনতা থেকে তারকা। শুক্রবার আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে শ্যামবাজার মোড়ে রাস্তায় অবস্থানের কথা ছিল রাজনৈতিক দল বিজেপির।
অভিযোগ—২ ঘণ্টার প্রতীকী অবস্থানে বসার আগেই গেরুয়া শিবিরের ধর্ণা মঞ্চ ভেঙে দেয় পুলিশ। বিজেপির নেতাদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় পুলিশের। এরপর আটক করা হয় রুদ্রনীলসহ বেশ কয়েকজনকে।
এদিক পুলিশের প্রিজন ভ্যানে উঠেও ঘটনার প্রতিবাদে সরব হন অভিনেতা।
চলন্ত গাড়িতে বসেই তিনি ভিডিও বার্তায় বলেন, প্রথমে ভারতীয় জনতা পার্টির শ্যামবাজার থেকে মঞ্চ ভেঙে দেওয়া হয়। যেভাবে তাঁরা মানুষের আন্দোলনকে, মা বোনেদের আন্দোলনকে আরজি করে দুষ্কৃতি ঢুকিয়ে বন্ধ করার চেষ্টা করে ছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলাদেশের ভয় নিজে পেয়ে গিয়েছেন। বলছেন এই বোনটার দাম নাকি ১০ লক্ষ টাকা। আজ ভারতীয় জনতা পার্টির পক্ষ থেকে প্রতিবাদ করা হয়।
আর আমরা কালচারাল সেলের পক্ষ থেকে প্রতিবাদে নেমেছিলাম। রাস্তা নাকি জ্যাম হচ্ছে, এই অজুহাতে আমাদের মারধর করে গ্রেপ্তার করা হলো। আপনারা রাস্তায় নেমে আসুন।’
প্রসঙ্গত, গত ৮ আগস্ট দিবাগত ভোররাত ৩-৬টার মধ্যে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজে ধর্ষণের পর খুন করা হয় তরুণী চিকিৎসককে। ওই তরুণীর গলার একটি হাড় ভাঙা ছিল। তাই প্রাথমিক ধারণা, গলা টিপে হত্যা করা হয় তাকে। শরীরে মোট দশ স্থানে ক্ষত পাওয়া গিয়েছে; যৌনাঙ্গেও রক্ত ছিল। এরপরই বিক্ষোভে ফেটে পড়ে পশ্চিমবঙ্গ।