ভারতে রবিবার দুটি দুর্ঘটনায় ১৬ জনের প্রাণহানি হয়েছে। দেশটির উত্তর প্রদেশ রাজ্যে গাড়ি ও বাসের সংঘর্ষে মৃত্যু হয় সাতজনের। গুরুতর আহত আরো ২৫ জন। অন্যদিকে মধ্য প্রদেশে একটি নির্মীয়মাণ মন্দিরের পাশে ভেঙে দেয়াল ধসে পড়ে।
এতে চাপা পড়ে অন্তত ৯ কিশোরের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। আহত হয়েছে আরো অনেকে।
স্থানীয় সময় রবিবার ভোরে উসরাহার এলাকায় লখনউ-আগরা সড়কে একটি গাড়ির সঙ্গে বাসের সংঘর্ষ হয়। ওই সময় বাসে প্রায় ৬০ জন যাত্রী ছিল।
যাত্রীসহ বাসটি খাদে ছিটকে পড়ে। ঘটনাস্থলেই সাতজনের মৃত্যু হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় ২৫ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
যাত্রিবাহী বাসটি রায়বেরিলি থেকে দিল্লির দিকে যাচ্ছিল। হঠাৎই ভুল লেন থেকে আসা একটি গাড়ির সঙ্গে ওই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের অভিঘাতে যাত্রীসহ রাস্তার পাশে প্রায় ২০ ফুট গভীর খাদে ছিটকে পড়ে বাসটি। বাসের চার যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়েছে দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়িটির তিনজনের।
রাজস্থান থেকে কনৌজের তালগ্রামে ফিরছিল তারা।
পুলিশ কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার জানান, সারা রাত গাড়ি চালিয়ে ক্লান্ত ছিলেন চালক। সম্ভবত সে জন্যই তিনি ঘুমচোখে ভুল লেনে ঢুকে পড়েন বলে প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান। যদিও বাসের এক যাত্রী সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, বাস চালানোর সময় চালক মাঝে মাঝেই মোবাইলে ব্যস্ত হয়ে পড়ছিলেন। তবে দুর্ঘটনার কারণ জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
এ ছাড়া মধ্য প্রদেশের সাগর জেলার শাহপুরে একটি নির্মীয়মাণ মন্দিরে ধর্মীয় অনুষ্ঠান চলছিল। তখনই মন্দির লাগোয়া একটি বাড়ির দেয়াল আচমকা ধসে পড়ে মন্দিরের দিকে। দুর্ঘটনার পর স্থানীয় বাসিন্দারাই প্রথমে উদ্ধারকাজ শুরু করেন। খবর দেওয়া হয় স্থানীয় থানায়। পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা মিলে ভাঙা দেয়ালের নিচ থেকে আহত শিশুদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করে। কিন্তু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক তাদের মৃত বলে ঘোষণা করেন।
দুর্ঘটনার বিষয়ে সরকারিভাবে এখনো কিছু জানানো হয়নি। হতাহতের সংখ্যাও এখনো স্পষ্ট নয়। তবে স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই এলাকায় ভারি বৃষ্টি হচ্ছিল। অনুমান করা হচ্ছে, বৃষ্টির কারণেই প্রায় ৫০ বছরের পুরনো ওই বাড়িটির দেয়াল ভেঙে পড়েছে।