ঢাকা
খ্রিস্টাব্দ

ভাষাবিজ্ঞানী মাহবুবুল হকের জীবনাবসান, মরদেহ আনা হবে চট্টগ্রামে

দৈনিক লাল সবুজ বাংলাদেশ


আপডেট : বুধবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ১১.১১ পূর্বাহ্ন


নিউজটি দেখেছেনঃ 1808441 জন

  • নিউজটি দেখেছেনঃ 1808441 জন
ভাষাবিজ্ঞানী মাহবুবুল হকের জীবনাবসান, মরদেহ আনা হবে চট্টগ্রামে
ছবি : সংগৃহীত

খ্যাতিমান ভাষাবিজ্ঞানী, একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রাবন্ধিক ও গবেষক ড. মাহবুবুল হক আর নেই। বুধবার দিনগত রাত পৌনে ২টায় ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।

মৃত্যুকালে মাহবুবুল হকের বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর। তিনি দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগ ও কিডনি জটিলতায় ভুগছিলেন। গত ৭ জুলাই তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।


আজ বৃহস্পতিবার রাতে মরহুমের মরদেহ চট্টগ্রামের লালখানবাজারস্থ বাসভবনে নেওয়ার কথা রয়েছে। আগামীকাল শুক্রবার সকালে সর্বস্তরের জনগনের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য তাঁর মরদেহ চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণেনেওয়া হবে। বাদ জুমা জমিয়তুল ফালাহ মসজিদ ময়দানে নামাজে জানাজা শেষে তাঁকে দাফন করার কথা রয়েছে।


ড. মাহবুবুল হকের জন্ম ১৯৪৮ সালের ৩ নভেম্বর ফরিদপুরে। তবে শৈশব থেকে বেড়ে উঠেছেন চট্টগ্রামে। ১৯৬৯ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতক (সম্মান) এবং ১৯৭০ সালে একই বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৯৭ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।  


মাহবুবুল হক শিক্ষক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। শিক্ষকতা করেছেন চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া কলেজ ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ। পরবর্তী কালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন।

ড. মাহবুবুল হক শিক্ষকতার পাশাপাশি প্রায়োগিক বাংলা ও ফোকলোর চর্চা, গবেষণা, সম্পাদনা, অনুবাদ ও পাঠ্যবই রচনা করে পরিচিতি লাভ করেন। তিনি বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি, বাংলা একাডেমি, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডসহ নানা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করেছেন। প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের বেশ কয়েকটি বাংলা পাঠ্য বইয়ের রচয়িতাও তিনি। 


আহ্বায়ক হিসেবে নতুন শিক্ষানীতি অনুযায়ী ২০১২ ও ২০১৩ শিক্ষাবর্ষের বাংলা শিক্ষাক্রম ও বাংলা পাঠ্যবই প্রণয়নে দায়িত্ব পালন করেছেন। প্রমিত বাংলা বানানের নিয়ম প্রণয়নে সক্রিয় ভূমিকা রয়েছে তাঁর।

বাংলাদেশ, ভারত ও সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে তাঁর লেখা ৪০টির বেশি বই প্রকাশিত হয়েছে। প্রবন্ধ সাহিত্যে অবদানের জন্য তিনি ২০১৮ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার পান। এছাড়া তিনি ২০১৯ সালে ভাষা ও সাহিত্যে একুশে পদক, ২০১৬ সালে রশিদ আল ফারুকী পদক এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন সাহিত্য পুরস্কারসহ অনেক পুরস্কার পেয়েছেন।


নিউজটি পোস্ট করেছেনঃ এলএসবিডি/হেনা

কমেন্ট বক্স
দৈনিক লাল সবুজ বাংলাদেশ



আপডেট : বুধবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ১১.১১ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদ