ব্রিটিশ নেতা ঋষি সুনাক শুক্রবার যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচনে কেয়ার স্টারমারের প্রধান বিরোধী লেবার পার্টির কাছে পরাজয় স্বীকার করে বলেছেন, ‘আমি হারের দায় নিচ্ছি।’ তিনি আরো বলেন, ‘আজ ক্ষমতা শান্তিপূর্ণ এবং সুশৃঙ্খল উপায়ে সব পক্ষের শুভেচ্ছাসহ হাত পরিবর্তন করবে।’ তিনি লেবার পার্টির নেতা কেয়ার স্টারমারকে অভিনন্দনও জানান। বিপুল জয়ের পথে লেবার পার্টি।
পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন কেয়ার স্টারমার। তিনি লেবার পার্টির বর্তমান প্রধান। যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে নিম্নকক্ষ হাউস অব কমন্সে ৬৫০টি আসনের ৪১০টি আসন পেতে পারে লেবার পার্টি। প্রতিদ্বন্দ্বী দলের চেয়ে ১৭০টি আসনে এগিয়ে থাকতে পারে তারা। বুথফেরত সমীক্ষায় এমনই ফলাফলের ইঙ্গিত মিলছে। ইতিমধ্যেই ফলাফল ঘোষণাও শুরু হয়ে গেছে। লেবার পার্টি ৩৬৮টি আসনে এগিয়ে। কনজারভেটিভরা এগিয়ে ৮৭টি আসনে।
পরবর্তী প্রধানমন্ত্রীর দাবিদার কেয়ার স্টারমার তার লন্ডন আসনে বিপুল ভোটে জয়ী ঘোষিত হয়েছেন। তিনি এখন লেবার পার্টির প্রধান। সব ঠিক থাকলে তিনিই হবেন যুক্তরাজ্য়ের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী।
জয়ী ঘোষণা হওয়ার পর স্টারমার বলেছেন, ‘আপনারা ভোট দিয়ে আমাদের জিতিয়েছেন। এবার আমাদের আপনাদের জন্য় কাজ করতে হবে।
১৯৯৭ সালের পর এই প্রথম যুক্তরাজ্যের ভোটে এত ভালো ফলাফল করতে চলেছে লেবার পার্টি। অন্য়দিকে ভয়াবহ ফলাফল হতে পারে ঋষি সুনাকের কনজারভেটিভ পার্টির। সব মিলিয়ে তারা জিততে পারে ১৩১টি আসন। লিবারেল ডেমোক্র্য়াট এবং রিফর্ম পার্টিরও আগের চেয়ে আসনসংখ্যা বাড়তে পারে। ব্রেক্সিটের ফসল নাইজেল ফারেজের রিফর্ম ইউকে দল সব মিলিয়ে ১৩টি আসনে জয়লাভ করতে পারে।
অ্যাশফিল্ড আসনে লড়াই করেছেন রিফর্ম পার্টির লি অ্যান্ডারসন। এর আগে ২০১৯ সালে তিনি কনজারভেটিভ পার্টির সদস্য় ছিলেন এবং এই আসন থেকেই জিতেছিলেন। এবারও ওই আসন থেকে রিফর্ম পার্টির হয়ে জয়লাভ করেছেন তিনি।
ফারেজ বলেছেন, তাদের এই ফল বুঝিয়ে দিচ্ছে মানুষ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছে। ১৩টি আসন নিয়ে পার্লামেন্টে চতুর্থ বৃহত্তম দলের জায়গা পাবে রিফর্ম পার্টি।
বুথফেরত সমীক্ষা থেকে একটি বিষয় স্পষ্ট, মানুষ সুনাকের সরকারকে সম্পূর্ণভাবে নাকচ করে দিয়েছে। ঐতিহাসিককালের মধ্যে এত খারাপ ফলাফল করেনি কনজারভেটিভ পার্টি। যার দায় সুনাককে নিতে হবে। বুথফেরত সমীক্ষায় ভোটদাতারা বলেছেন, অর্থনীতির উন্নয়ন এবং আরেকটু ভালো জীবনযাপনের কথা মাথায় রেখে তারা ভোট দিয়েছেন। সুনাক যেভাবে অর্থনীতি সামলেছেন, তার বিরুদ্ধে মত দিয়েছেন সাধারণ ভোটাররা।