চট্টগ্রামের মিরসরাই থানার পশ্চিম মায়ানী এলাকায় নিজ বাড়ির উঠানে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছেলে শাহেদ হত্যার ঘটনায় পলাতক প্রধান আসামী বাবা মো. নুরুজ্জামানকে (৬৫) দ্বিতীয় স্ত্রীসহ সিলেট দক্ষিণ সুরমা থানা এলাকা থেকে আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় গ্রেফতার করেছে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম। পারিবারিক কলহের জেরে এই মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয় বলে জানা গেছে।
ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে মঙ্গলবার সকাল ১১টায় র্যাব-৭ অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মোঃ হাফিজুর রহমান, পিএসসি চান্দগাঁও ক্যাম্পের মিডিয়া সেন্টারে (সিপিসি-৩, বহদ্দারহাট) এক প্রেস ব্রিফিং করবেন।
সোমবার রাতে বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন মিরসরাই থানার অফিসার ইনচার্জ আতিকুর রহমান। তিনি জানান, ঘটনার পর থেকে আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে পুলিশ ও র্যাব সিলেট জেলার দক্ষিণ সুরমা থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে নতুন স্ত্রীসহ ঘাতক বাবা নুরুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকাণ্ডে নিজ বাবার হাতে খুন হয়েছেন চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র শাহেদ। গত ১০ সেপ্টেম্বর (বুধবার) বিকেলে নিজ বাড়িতে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। জানা যায়, শাহেদের বাবা মো. নুরুজ্জামান দ্বিতীয় বিয়ে করে স্ত্রীকে বাড়িতে নিয়ে আসেন। বিষয়টি জানতে পেরে শাহেদ শহরের ভাড়া বাসা থেকে মায়ের সঙ্গে এবং কয়েকজন গণ্যমান্য ব্যক্তিকে নিয়ে বাড়িতে গেলে, সেখানে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে নুরুজ্জামান তার প্রথম স্ত্রী কামরুজ্জাহানের চুলের মুঠি ধরে টানেন। মাকে বাঁচাতে ছুটে গেলে বাবা নুরুজ্জামান পুত্র শাহেদের বুকে ছুরি চালান। ঘটনাস্থলেই মারা যান শাহেদ। পরবর্তীতে নিহতের মা কামরুজ্জাহান মিরসরাই থানায় স্বামী নুরুজ্জামানকে প্রধান আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার প্রেক্ষিতে র্যাব-৭ চট্টগ্রাম নুরুজ্জামানকে গ্রেফতার করেছে।
