ঢাকা
খ্রিস্টাব্দ

বৃষ্টির প্রার্থনায় রাজশাহীর চাষিরা

আমের গুটি শুকিয়ে ঝরে পড়ছে

দৈনিক লাল সবুজ বাংলাদেশ

নিজস্ব সংবাদদাতা | দৈনিক লাল সবুজ বাংলাদেশ
রাজশাহী
রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ১২.১১ পূর্বাহ্ন

আপডেট : রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ১২.১১ পূর্বাহ্ন


নিউজটি দেখেছেনঃ 802006 জন

  • নিউজটি দেখেছেনঃ 802006 জন
আমের গুটি শুকিয়ে ঝরে পড়ছে

মে মাসের শেষেই দেশের বাজারে আসার কথা রাজশাহীর সুস্বাদু আম। এবার ফলনও ভালো হওয়ায় উচ্ছ্বাস দেখা গিয়েছিল রাজশাহীর আম চাষিদের মাঝে। কিন্তু চলমান তীব্র তাপপ্রবাহে রাজশাহীর বিভিন্ন বাগানে আমের গুটি শুকিয়ে ঝরে পড়ার হার বাড়ছে। এতে আম চাষি ও ব্যবসায়ীদের কপালে পড়েছে চিন্তার ভাঁজ।



কৃষি বিভাগ সূত্র বলছে, এবার রাজশাহী জেলার প্রায় ১৯ হাজার ৬০০ হেক্টর জমির আম বাগান থেকে ২ লাখ ৬০ হাজার মেট্রিক টন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে সেই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ অনেকটাই অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।


রাজশাহী আবহাওয়া অফিস সূত্র জানায়, রাজশাহীতে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি পৌঁছেছে। এছাড়া দীর্ঘ সময় ধরে তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে অবস্থান করছে।


অন্যদিকে রাজশাহীতে গত ৭ এপ্রিল ১ মিলিমিটার, ১১ এপ্রিল ২৩.৩ মিলিমিটার, ১৫ এপ্রিল ৪.৮ মিলিমিটার, ১৮ এপ্রিল ১২ মিলিমিটার ও ১৯ এপ্রিল ২.৮  মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এরপর বৃষ্টি না থাকায় চাষিরা এখন প্রার্থনা করছেন, এক পশলা বৃষ্টি যেনো তাদের আম বাগান ও স্বপ্ন দুটোই বাঁচিয়ে দেয়।



রাজশাহীর বাঘা, চারঘাট, পুঠিয়া, পবা, হরিয়ান, পারিলা, শ্যামপুর, বুধপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকার আমচাষি ও ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, তাপপ্রবাহে আম বাগানের গাছের গুটি ঝরে পড়ছে আশঙ্কাজনক হারে। যেসব গাছের প্রায় ৯০ শতাংশ মুকুল এসেছিল, তার ৭০ শতাংশ থেকে গুটি তৈরি হয়েছিল। কিন্তু চলমান তাপপ্রবাহ এবং বৃষ্টির অভাবে অনেক গুটিই এখন আর টিকছে না।


রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্রের কর্মকর্তারা জানান, তাপপ্রবাহের প্রভাবে আমের বোটার রস শুকিয়ে যাচ্ছে। ফলে গুটি ঝরে পড়ছে। গাছের গোড়ায় সেচ ও আমের গায়ে পানি স্প্রে করার পরামর্শ দেওয়া হলেও, প্রকৃতিতে বৃষ্টিপাত না হলে পরিস্থিতির উন্নতি হবে না বলে মনে করছেন কৃষি বিশেষজ্ঞরা।


জেলার পবা উপজেলার আমচাষি শামসুজ্জামান বলেন, কালবৈশাখী ঝড় আগেও দেখেছি। কিন্তু খরার মধ্যে যদি ঝড় আসে তাহলে আমের বোটা আগেই শুকিয়ে যায়। এতে আমের ক্ষতি কয়েকগুণ পর্যন্ত বেড়ে যাবে।


বাগান লিজ নিয়ে আমচাষ করা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, এবার আমগাছের মুকুল দেখে অনেক আশা করেছিলাম। ভাবছিলাম, এবার ঋণ পরিশোধ করার পর কিছু লাভ করতে পারব। কিন্তু বর্তমানে যে হারে আমের গুটি ঝরে যাচ্ছে, তাতে লাভের আশা ফিকে হয়ে গভীর হতাশার সৃষ্টি হয়েছে। অনেক চেষ্টা করছি, তবু মনে হচ্ছে শেষ রক্ষা হবে না।


অন্যদিকে নতুন বাগানের ছোট আম গাছে পানি স্প্রে করে কোনোভাবে আমের গুটি রক্ষার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন চাষি মনি মিঞা। তবে বড় গাছে পানি ছিটাতে শ্রমিক খরচ বেড়ে যাওয়ায় তা আর টিকছে না বলেও জানান তিনি।


নিউজটি পোস্ট করেছেনঃ এলএসবিডি/হেনা

কমেন্ট বক্স
বাংলাদেশ | জাতীয়
দৈনিক লাল সবুজ বাংলাদেশ

নিজস্ব সংবাদদাতা | দৈনিক লাল সবুজ বাংলাদেশ
রাজশাহী
রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ১২.১১ পূর্বাহ্ন
আপডেট : রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ১২.১১ পূর্বাহ্ন